কদমতলাঃ
উত্তর জেলার ধর্মনগর থানাধীন ধর্মনগর কদমতলা মূল সড়কের সোনারের বাসা থেকে ইয়াকুবনগর হয়ে ভাগ্যপুর পর্যন্ত যে আড়াই কিলোমিটার রাস্তা রয়েছে তার অবস্থা খুবই বেহাল। দীর্ঘ ২৫ বছর যাবত গ্রামবাসীরা এই রাস্তার মেরামতের জন্য নেতা মন্ত্রী এবং দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে একাধিকবার তাদের দাবি জানিয়ে এসেছেন।কিন্তু লাভের লাভ কিছুই হয়নি। অবশেষে মঙ্গলবার গ্রামবাসীরা সোনারের বাসা এলাকায় ধর্মনগর-কদমতলা মূল সড়ক অবরোধ করে বসেন। মঙ্গলবার সকাল দশটা থেকে এই অবরোধ শুরু হয়। খবর পেয়ে ধর্মনগর থানা পুলিশের বিভিন্ন কর্মকর্তারা এলাকায় ছুটে যান। পূর্ত দপ্তরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সুকোমল চাকমা সহ বিভিন্ন আধিকারিকরা এলাকায় ছুটে যান। কিন্তু এলাকাবাসীদের অভিমত জেলাশাসক বা চীফ ইঞ্জিনিয়ার তাদেরকে পুরোপুরি নিশ্চিত আশ্বাস দিলে তবে রাস্তা খোলা হবে। অন্যথায় অনির্দিষ্ট কালের জন্য এই পথ অবরোধ চলবে । উল্লেখ্য এই এলাকায় তিনশো পরিবারের বসবাস এবং দুটি এস বি স্কুল রয়েছে। একদিকে যেমন সাধারণ মানুষের ভোগান্তি অন্যদিকে স্কুল পড়ুয়াদের এই রাস্তা দিয়ে স্কুলে যাওয়া আসা ওষ্ঠাগত প্রাণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।জেলাশাসক না এসে একটু দেরিতে একজন সিনিয়র ডিসি সঞ্জীব দাস কে পাঠান। কিন্তু এই ডিসির কথায় গ্রামবাসীদের মন ভরেনি।তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ থেকে নিশ্চিত আশ্বাস চাইছেন। উল্লেখ্য গতবছর এই রাস্তার সংস্কারের জন্য ধর্মনগর পূর্ত দপ্তরের পক্ষ থেকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সংস্কার সহ প্লেনের কপি পাঠানো হয় । কিন্তু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত কোন ফলস্বরূপ পদক্ষেপ নেয়নি। গ্রামবাসীরা জানান তাদের দাবিকে কর্ণপাত না করে দিনের পর দিন নেতা-মন্ত্রী এবং দপ্তরের কর্মকর্তারা নিশ্চিন্তে এড়িয়ে চলেছেন । বাধ্য হয়ে এলাকার সবাই একত্রিত ভাবে রাস্তা অবরোধে নামতে বাধ্য হয়েছেন।তারা আরো জানান,কোন মানুষ অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া বেশ দুঃসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে । হাসপাতালে নিতে যেতে মুমূর্ষ রোগীরা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ার উপক্রম হয়ে যায়। তাই তাদের কাছে নিরুপায় হয়ে রাস্তা অবরোধ করা ছাড়া আর কোন বিকল্প রাস্তা নেই। গ্রামবাসীরা জানান, ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের সমস্যা নিরসন না হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য এই রাস্তা অবরোধ চলবে। একমাত্র জেলা শাসক বা চিফ ইঞ্জিনিয়ার নিশ্চিত আশ্বাস দিলে তবে এই অবরোধ তোলা হবে। এদিকে এই রাস্তা অবরোধের ফলে অবরো স্হলের দুই পাশে শত শত যানবাহন দাঁড়িয়ে পড়েছে । কখন রাস্তা অবরোধ মুক্ত হবে এই অনিশ্চয়তা নিয়ে যানবাহন এর চালকরা অপেক্ষায় রয়েছে।