সোনামুড়াঃ
সারাদিন শুধু পড়াশুনা নিয়ে চাপ দিচ্ছেন সন্তানদের। তার মধ্যে আবার ছেলে সারাদিন মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত ? এইসব এড়িয়ে গেলে হতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটণা। মা-বাবার পড়াশুনার জন্য চাপ, তার উপর ইন্টারনেটে জালিয়াতির খপ্পরে পরে বাড়ি ছাড়ল অষ্টম পড়ুয়া ছাত্র। দিশে হারা মাতাপিতা হন্যে হয়ে ঘুরছে ছেলের সন্ধানে।
ইদানিং কালে মোবাইল এবং ইন্টারনেটে আশক্তি বাড়ছে ছাত্রছাত্রীদের। তার মধ্যে মা বাবার তরফ থেকে শুধু পড়াশুনার এবং ভাল ফলাফলের চাপ। আর এইসব চাপ সহ্য করতে না পেরে অনেক ক্ষেত্রেই বিপথে ধাবিত হয় ছাত্রছাত্রীরা। হতাশায় আত্মহননের পথও বেছে নেয় অনেকে । এমনই এক ঘটনা দেখা গেল মেলাঘরের নলছড়ে। মেলাঘর থানাধীন নলছড়ের স্বপন চক্রবর্তীর অষ্টম শ্রেনীতে পড়ুয়া ছাত্র পলাশ রবিবার সাতসকালেই কাউকে কিছু না বলেই বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যায়। বাড়ি ছাড়ার আগে তিন পাতার একটি চিঠি লিখে যায় মায়ের জন্য। সেখানে পলাশ উল্লেখ করে সে নাকি অনলাইনে দুই বছর অনেক চেষ্টা করে কোন একটা স্কলারশিপ পেয়েছে। আর সেই স্কলারশিপে পড়াশুনার জন্য তাকে এখন অনেক দূর যেতে হচ্ছে। বাবা মা’কে বললে তার হয়তো অনুমতি দিত না। আর সেইজন্যই সে কাউকে কিছু না বলেই বাড়ি থেকে বেড়িয়ে পরেছে। শেষে লিখেছে আমার ভাল চাইলে আমাকে খোজাখুজি করো না। অষ্টম শ্রেনীতে পড়ুয়া ছাত্রের এই পদক্ষেপে রীতিমত অবাক সকলে। একদিকে পড়ার চাপ , অন্যদিকে অনলাইনে বিভিন্ন ভুয়া এপসে বিভ্রান্ত হইয়েই পলাশের এই পদক্ষেপ বলে ধারনে এলাকাবাসীর। পুর্ত দপ্তরে কর্মরত পলাশের পিতা মেলাঘর থানায় একটি নিখোঁজে ডায়রি করেন। পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানতে পারে পশাল মেলাঘর থেকে আগরতলার উদ্দেশ্যে কোন একটি গাড়িতে চড়েছে। তবে এই ঘটণা অভিভাবকদের কাছে এক প্রকারের বার্তা দিয়ে যায়, ছেলেমেয়েদের পড়াশুনার বাড়তি চাপ এবং ইন্টারনেট আশক্তি থেকে দূরে রাখা অত্যাবশ্যক।