সোনামুড়াঃ
সিপাহীজলা জেলাতেও উদযাপিত হয়েছে নবম আন্তর্জাতিক যোগ দিবস। জেলা ভিত্তিক মূল অনুষ্ঠানটি হয় মেলাঘরের নীরমহলে। প্রধান অতিথি হিসেবে সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক কিশোর বর্মন। তিনি ভাষণ রাখতে গিয়ে বলেন প্রাচীন কালে ভারতবর্ষ জগৎ সবার শ্রেষ্ট আসনে ছিল। বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারত বিশ্বকে পথ দেখিয়েছে। দীর্ঘ ইংরেজ শাসনে তা মুছে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। দেশের বর্তমান সরকার সেই ঐতিহ্য পরম্পরা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। উদ্দেশ্য এক ভারত শ্রেষ্ট ভারত তৈরী করা। তার মধ্যে অন্যতম যোগ অভ্যাস।
অন্য অতিথি সিপাহীজলা জেলার জেলাশাসক ডক্টর বিশাল কুমরা ভাষণ রাখতে গিয়ে তুলে ধরেন যোগার বুৎপত্তিগত অর্থ। তার মতে মানুষের প্রাত্যহিক জীবন শৈলীর মধ্যেই যোগা থাকা প্রয়োজন।সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন নিয়মিত যোগ অভ্যাসে সকলে থাকার জন্য আবেদন রাখেন জেলা শাসক।
সিপাহীজলা জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুপ্রিয়া দাস দত্ত যোগব্যায়ামকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অবদান উল্লেখ করেন। কারন এই ব্যায়ামের মধ্যেই শারীরিক ও মানসিক বিকাশের পাশাপাশি আত্মা ও পরমাত্মার মধ্যে সংযোগ স্থাপন হয়।
সিপাহীজলা জেলার এস.পি, বি.জে রেড্ডি বলেছেন আমাদের দেশে তার আগেও যোগা করা হতো। দেশের বর্তমান সরকারই এই যোগাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে । উদ্দেশ্য যোগাকে মানুষের জীবন শৈলীর অঙ্গ হিসেবে তৈরী করা।
জেলা ভিত্তিক নীরমহলের কর্মসূচিতে বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র ছাত্রী ,বি.এস .এফ সমেত প্রায় ৩০০ জন যোগাচারী অংশগ্রহন করেন। তাছাড়াও জেলার অন্তর্গত প্রতিটি মহকুমা , ব্লক ভিত্তিক আয়োজিত হয়েছিল এই কর্মসূচি। সোনামুড়া নগর পঞ্চায়েত ও সোনামুড়া আদলত চত্বরে উদযাপিত হয়েছে নবম আন্তর্জাতিক যোগ দিবস।