আসামঃ
সাতটি জেলায় ২৫টি ‘ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টার’ খোলা হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতির মধ্যেই দুর্যোগের বার্তা দিয়েছে মৌসম ভবন। আগামী ৫ দিনে অসমের বিভিন্ন জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। ভারী বৃষ্টির কারণে ডিমা হাসাও, কামরূপ মেট্রোপলিটন এবং করিমগঞ্জের কয়েকটি এলাকায় ধস নেমেছে।
অসমে বন্যা পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক। এই মুহূর্তে ৪৪৪টি গ্রাম জলের তলায়। ৩০ হাজারেরও বেশি বাসিন্দা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সে রাজ্যের ১০টি জেলার বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন। অসম বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর তরফে এ কথা জানানো হয়েছে। গত কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টির কারণে প্লাবন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে উত্তর পূর্বের ওই রাজ্যে।
অসমের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী জানিয়েছে, চিরাং, দরং, ধেমাজি, ধুবড়ি, ডিব্রুগড়, কোকরাঝাড়, লখিমপুর, নলবাড়ি, সন্তিপুর, উদালগুড়ি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবেচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে লখিমপুর জেলায়। সেখানে ২২ হাজারেরও বেশি বাসিন্দা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ডিব্রুগড়ে ক্ষতির মুখে পড়েছেন ৩ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি বাসিন্দা। কোকরাঝাড়ে প্রায় ১৮০০ জন বাসিন্দা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ৪৭৪১.২৩ হেক্টর চাষের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।