বিশালগড়ঃ
স্বামী পরকীয়ায় মত্ত, অভিযুক্ত প্রেমিকার বাড়িতে গিয়ে কেলানি দিলেন শিক্ষিকা স্ত্রী। সংসার বাঁচাতে রণচণ্ডীর ভুমিকায় স্ত্রী। ভাইকে সঙ্গে নিয়ে স্বামীর প্রেমিকার বাড়িতে গিয়ে বেধরক পেটালেন স্ত্রী।
ঘটনা বিশালগড় থানাধীন নোয়াপাড়া এলাকায়। নোয়াপাড়া এলাকার সফিকুল ইসলামের সাথে তারই এক প্রতিবেশী মহিলার সাথে বিবাহ বহির্ভূত প্রণয় ঘটিত সম্পর্ক রয়েছে বলে অভিযোগ দির্ঘদিনের। এই অবৈধ সম্পর্কের জেরে পারিবারিক ঝামেলা নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে সফিকুল ইসলামের সংসারে। সফিকুলের মোবাইলে তার প্রেমিকা তথা পাশের বাড়ির গৃহবধূর কর্তৃক পাঠানো কিছু আপত্তিকর মেসেজ এবং ছবি দেখতে পায় সফিকুলের স্ত্রী তথা বিশালগড় করইমুড়া স্কুলের শিক্ষিকা জোৎস্না বেগম। স্বামীর মোবাইলে অন্য মহিলার সাথে পরকীয়ার সম্পর্কের ঘটনা জানতে পেরে নিজের সংসার বাঁচানোর তাগিদে শনিবার দুপুরে ভাই আক্তার হোসেনকে নিয়ে প্রতিবেশী গৃহবধূ তথা স্বামীর প্রেমিকাকে তার ঘরের ভেতর দরজা লাগিয়ে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার গভীর রাতে বিশালগড় মহিলা থানা এবং বিশালগড় থানায় লিখিত অভিযোগ জানায় আক্রান্ত প্রেমিকা গৃহবধূ।
একদিকে একাংশের অভিমত স্কুল শিক্ষিকার আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া ঠিক হয়নি, কারণ দেশে আইন আছে, আদালত আছে, থানা আছে, পঞ্চায়েত আছে, তাই বসেও এই ঘটনার মীমাংসা করা যেত। কিন্তু অন্যদিকে যেহেতু বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক আইনত বৈধ তাই আইনের দ্বারস্থ হয়ে এর কোনো সমাধান সূত্র বের করা কারোর পক্ষেই সম্ভব নয়, তাই নিজের সংসার বাঁচাতে দেবী দশভূজার রূপ ধারণ করা স্কুল শিক্ষার ভুল সিদ্ধান্ত নয় বলেও অভিমত অনেকের। এখন দেখার বিশালগড় পুলিশ মামলা হাতে নিয়ে ঠিক কি ভূমিকা গ্রহণ করে?