
কদমতলাঃ
বহিঃ রাজ্যে পাড়ি দেবার পথে পুলিশের জালে সাত বাংলাদেশী নাগরিক সহ চার রোহিঙ্গা ও দুই শিশু।সাথে আটক তিনটি যাত্রীবাহী ছোট গাড়ি ও গাড়ির চালক। ঘটনা উত্তর ত্রিপুরা জেলার কদমতলা থানাধীন ঝেরঝেরী এলাকায়। জানা গেছে, কদমতলা থানার পুলিশের কাছে গোপন খবর ছিল বেশ কয়েকজনের একটি অবৈধ প্রবেশকারী বাংলাদেশী ও রোহিঙ্গার দল বহিঃ রাজ্যে পাড়ি দেবে।সেই মোতাবেক থানার ওসি দলবল নিয়ে ত্রিপুরা অসম সীমান্তের ঝেরঝেরী নাকা পয়েন্টে জোর তল্লাশি চালিয়ে TR02M/0612,TR02K/0789 এবং TR02M/0611 নম্বরের তিনটি ওয়াগনার গাড়ি থেকে অবৈধ প্রবেশকারী সাতজন বাংলাদেশী নাগরিক আটক করে।সাথে আটক করা হয় চারজন রোহিঙ্গা ও দুই শিশু।আটক করা হয় তিনটি গাড়ির চালককেও।সাত জন বাংলাদেশী যথাক্রমে রহমান আলী (৩০) জন্নতারা (১৯) খালেদা বেগম (১৯) সহ এক নাবালিকার বাড়ি বাংলাদেশের চিটাগাং এলাকায়।অপর তিনজন বাংলাদেশের বরিশাল জেলার কারিমা বেগম(২৮),আব্বাস হাওলাদার (৩৫) এবং আল হাফিজ (১৮)।ধৃত রোহিঙ্গারা যথাক্রমে মোহাম্মদ আলম সা (২০),কুমাইরা বিবি (১৮),ফরিদা বেগম (১৮) এবং শাফেলা বেগম(১৮)।সাথে আটক তিন গাড়ি চালক,আব্দুল ফাত্তা খান,ছায়াদ আলী ও মতছির আলি। উভয়ের বাড়ি ঊনকোটি জেলার ভগবান নগরে।এমর্মে ধর্মনগর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দেবাশীষ সাহা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,গোপন খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সাত জন বাংলাদেশী নাগরিক, চারজন রোহিঙ্গা, দুই শিশু সহ কৈলাসহরের তিনটি গাড়ি সহ চালকদের আটক করেছে পুলিশ। তিনি আরো জানান, দালাল মারফত অবৈধভাবে কৈলাসহর সীমান্ত দিয়ে ভারতের মাটিতে প্রবেশ করে তারা। তাছাড়া সাড়ে তিন হাজার টাকার বিনিময়ে কৈলাসহর থেকে করিমগঞ্জ নিয়ে যাচ্ছিল চালকরা।তবে ধৃত বাংলাদেশী নাগরিকদের গন্তব্য স্থল দিল্লি থাকলেও রোহিঙ্গাদের গন্তব্য স্থল ছিল জম্মু কাশ্মির। অবশ্য পুলিশ খতিয়ে দেখছে এই আন্তর্জাতিক পাচার চক্রের সাথে ধৃত গাড়ি চালকরা জড়িত রয়েছে কি না। তিনি আরো জানান, ধৃতদের কাছ থেকে কোন বৈধ কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। পুলিশি জেরায় ধৃতরা জানিয়েছে, বাংলাদেশে কাজ ও খাদ্যের সংকট,তাই জীবন জীবিকা রক্ষার জন্য ভারতে এসেছে। অপরদিকে আরো জানা গেছে,ধৃত কৈলাসহরের গাড়ি চালক মতছির আলি দীর্ঘদিন যাবৎ এধরনের কার্যকলাপের সাথে যুক্ত।আর কৈলাসহর এলাকার স্হানীয় এক সাংবাদিকের পশ্রয়ে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে এসকল কর্মকাণ্ড করে আসছিল বলেও খবর। পাশাপাশি স্হানীয় থানার পুলিশ সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে।শুক্রবার ধৃতদের ধর্মনগর জেলা আদালতে সোপর্দ করা হবে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।