
ঊনকোটিঃ
চৌদ্দ জুন বুধবার দুপুরে ঊনকোটি জেলায় ভারী ব্জ্রপাতে একজনের মৃত্যু হয় এবং দুইজনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় ঊনকোটি জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অপর দুইজন পেচারতলের মাছমারা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনাটি ঘটে পেচারতলের শান্তিপুর এডিসি ভিলেজের ভেথেল পাড়ায়। এই ঘটনায় গোটা ঊনকোটি জেলায় তীব্র আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। গুরুতর আহতরা কৈলাসহরের ঊনকোটি জেলা হাসপাতালে সঠিক চিকিৎসা পরিসেবা পাচ্ছে না বলেও অভিযোগ করে। ঘটনার বিবরনে জানা যায় যে, পেচারতলের শান্তিপুর এডিসি ভিলেজের এক নং ওয়ার্ডের ভেথেল পাড়া এলাকায় একটি সুপারী বাগানে স্থানীয় ছয়জন শ্রমিক কাজ করছিলেন। এরমধ্যে তিনজন পুরুষ এবং তিনজন মহিলা শ্রমিক ছিলো। দুপুর বারোটা নাগাদ হঠাৎ হঠাৎ করে ব্জ্রপাত সহ বৃষ্টি আসায় শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে সুপারী বাগানের একটি টং ঘরের ভিতরে সবাই আশ্রয় নেয়। গ্রামবাসীরা জানায় যে, টং ঘরের ভিতরে থাকা অবস্থায় হঠাৎ করে ভারী ব্জ্রপাতে টং ঘরের সামনের শক্ত খুটি চুরমার হয়ে যায় এবং টং ঘরের ভিতরেই ছাব্বিশ বছরের রবীশ্রী ত্রিপুরা নামে এক মহিলা শ্রমিক মারা যায়। বাকি ৫জন শ্রমিকের মধ্যে এক মহিলা শ্রমিক সুপারী বাগানের পাহাড়ের উপরে টং ঘর থেকে নীচে পড়ে যায়। এই মহিলা শ্রমিক নীচে পড়ে যাওয়াতে অন্যরা রক্ষা পায়। এই মহিলা শ্রমিক পরবর্তী সময়ে গ্রামের মানুষদের ঢেকে এনে বাকী শ্রমিকদের উদ্ধার করে। এরমধ্যে তেতাল্লিশ বছরের নাইজুওয়ালা দারলং এবং সাতাশ বছরের মহিলা শ্রমিক দাবারুন ত্রিপুরাকে প্রথমে পেচারতল থেকে কুমারঘাট হাসপাতালে আনার পর তাদের দুইজনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কুমারঘাট হাসপাতাল থেকে তাফের দুইজনকে কৈলাসহরের ঊনকোটি জেলা হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।

জেলা হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন যে, দাবারুন ত্রিপুরা এবং নাইজুওয়ালা দারলং-এর অবস্থা খুবই খারাপ। ভারী ব্জ্রপাতে দুইজনের শরীর জ্বলে গেছে। তাছাড়া বিপ্লব চাকমা এবং দয়াময় চাকমা নামের অপর দুই শ্রমিক পেচারতলের মাছমারা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে প্রতক্ষ্যদর্শী গ্রামবাসীরা জানায়। অন্যদিকে জেলা হাসপাতালে আহতদের সাথে আসা নিকট আত্মীয় স্বজনরা গুরুতর অভিযোগ করে জানান যে, জেলা হাসপাতালে বিকেলে আনার পর থেকে ডাক্তার কিং নার্স সহ স্বাস্থ্য কর্মীদের কাছ থেকে কোনো ধরনের সাহায্য সহযোগিতা পাচ্ছেন না।এমনকি কি বিকেলে জেলা হাসপাতালে আসার পর থেকে সন্ধ্যা আটটা অব্দি কোনো ধরনের ঔষধ পত্র কিংবা অন্য কোনো ধরনের কিছু দিয়েও সাহায্য করা হচ্ছে না বলে আহতদের সাথে আসা আত্মীয় স্বজনরা প্রকাশ্যেই অভিযোগ করেন