করিমগঞ্জঃ
অসম ও ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের কড়া ফরমানে নেশা বিরোধী অভিযানে প্রায় প্রতিদিন দুটি রাজ্যের কোথাও না কোথা নেশা সামগ্রী সহ ধরা পড়ছে পাচারকারিরা।তবুও রাতারাতি ধনী হবার বাসনায় নেশার কারবার থেকে এক চুলও পিছু হঠছে না নেশা কারবারিরা।তবে এতে জড়িতদের বাগে আনতে কোন কসুর বাকি রাখছে না প্রশাসন।এরিমধ্যে মঙ্গলবার বিকেলে ত্রিপুরায় পাচারের পথে তিনটি লরি থেকে পচানব্বই হাজার তিন`শ ষাট বোতল নেশা জাতিয় কফ সিরাফ জব্দ করে অসমের করিমগঞ্জ জেলার বাজারিছড়ার চুরাইবাড়ি পুলিশ।
জানা গেছে অন্যান্য দিনের ন্যায় এদিনও চুরাইবাড়ি পুলিশ ওয়াচ পোস্টের ইনচার্জ প্রণব মিলির নেতৃত্বে বিভিন্ন যান বাহনে তল্লাশি চালায় পুলিশ।এতে সাফল্য আসে।এদিন ডব্লিউবি(উনত্রিশ)বি(পাঁচ তিন আট ছয়)নম্বরের পশু খাদ্য বোজাই লরিটি চেক করলে বিভিন্ন বস্তার আড়াল থেকে তিন`শ তেইশ কার্টুনে একান্ন হাজার ছয়`শ আশি বোতল নেশা জাতিয় নিষিদ্ধ কফ সিরাফ উদ্ধার হয়।এতে আটক করা হয় লরি চালক সামিনুর ইসলামকে।তার পিতার নাম বিসমিল্লা খান।বাড়ি চব্বিশ পরগনার শিমুলিয়ায়।সে গাড়িটিতে কলকাতার বড়বাজার থেকে সামগ্রী বোজাই করে আগরতলায় পৌঁছানোর কথা ছিল।পরে ডাব্লিউবি(এগারো)ডি(চার সাত শূণ্য দুই)নম্বরের খুচরো সামগ্রী বোজাই অপর লরিতে তল্লাশি করলে বাহাত্তর কার্টুনে এগারো হাজার পাঁচ`শ কুড়ি বোতল নেশা জাতিয় কফ সিরাফ উদ্ধার হয়।এতে আটক করা হয় লরি চালক বিভেশকুমার রায়কে।তার পিতার নাম রামবিনয় রায়।বাড়ি বিহার বেগুসরাই জেলার ঘরপুরায়।
এদিন পুলিশ দ্বিতিয় অভিযানে এনএল(শূণ্য এক)এস(শূণ্য তিন শূণ্য শূণ্য)নম্বরের একটি কন্টেনার গাড়িতে তল্লাশি করলে বিভিন্ন সামগ্রীর আড়াল থেকে দু`শ এক কার্টুনে বত্রিশ হাজার এক`শ ষাট বোতল নেশা জাতিয় কফ সিরাফ উদ্ধার হয়।তবে এতে উক্ত লরি চালক আটকের কোন খবর নেই।জানা গেছে পুলিশি অভিযানের টের পেয়ে উক্ত চালক নাকি গা ঢাকা দিতে সক্ষম হয়।তিনটি লরি থেকে উদ্ধারকৃত কফ সিরাফগুলোর কালোবাজারী মুল্য প্রায় বিশ কোটি টাকার মত হবে বলে অসম পুলিশ জানিয়েছে।ধৃতদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা হাতে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে অসম পুলিশ।এদিকে বিপুল পরিমান নেশা সামগ্রী আটকের খবর পেয়ে এদিন রাতে চুরাইবাড়িতে উপস্থিত হন খোদ করিমগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার পার্থপ্রতিম দাস।এমন অভিযানের জন্য তিনি নিজ বিভাগীয় কর্মীদের উৎসাহ দেন।ধৃতদের বুধবার আদালতে তোলা হবে বলে জানা গেছে।