কদমতলা: উত্তর জেলার কদমতলা ব্লকাধীন খেরেংজুড়ি এলাকায় আট নং আসাম আগরতলা জাতীয় সড়কের উপর তৈরি হয়েছে বিশাল বিশাল গর্ত।দীর্ঘ একমাস যাবৎ এই জায়গার করুন অবস্থা থাকলেও সামান্য বৃষ্টিপাত হতেই রবিবার রুপ নেয় করুন অবস্থার।খেরেংজুড়ি এলাকায় জাতীয় সড়কের উপর বিশাল জায়গা জুড়ে ভাঙা থাকার কারণে সকাল থেকে দেখা দেয় যান চলাচলে সমস্যা। ছোট ছোট যানবাহন পার হতে গিয়ে পড়তে হয়েছে দুর্ঘটনার কবলে।
অবশেষে এদিন বিকেল চারটা নাগাদ স্হানীয় খেরেংজুড়ি,লক্ষীনগর ও কাটুয়া ছড়ার জাতি উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ একত্রিত ভাবে জরাজীর্ণ জাতীয় সড়ক মেরামতির দাবিতে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বসেন। তাদের দাবি জাতীয় সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচলের উপযোগী করে দিতে হবে।পথ অবরোধকারীরা জানান, দীর্ঘ এক মাস যাবৎ খেরেংজুড়ি এলাকায় জাতীয় সড়কের উপর বিশাল বিশাল গর্ত তৈরি হবার ফলে ছোট ছোট গাড়ি দুর্ঘটনা গ্রস্থ হচ্ছে। তাছাড়া গর্তে ফেঁসে আটকে যাচ্ছে পন্য বোঝাই লরি।রাস্তা সংস্কারের জন্য একাধিকবার জানিয়েও কোন কাজ হয়নি। অবরোধকারীদের অভিযোগ,সব গুলি ভাঙা রাস্তার পাশে রয়েছে পাথার ভাঙার ক্রেশার মেশিন। এই ক্রেশার মেশিন গুলিতে প্রতিদিন দশ ও বারো চাকার লরি যাতায়াত করে।
আর রাস্তার অনুপাতে লরির ওভারলোডে জাতীয় সড়ক ভেঙে চুরমার হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে রাতের বেলা রাস্তা দিয়ে চলাচলের সময় রাস্তার উপরে থাকা পুকুর সমো গর্তে পড়ে যানবাহনের ক্ষতি হচ্ছে এবং দুর্ঘটনাগ্রস্ত হচ্ছে। ভেঙে যাচ্ছে যানবাহনের নিচের যন্ত্রাংশ।এমতাবস্থায় তারা একাধিকবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানালেও তাদের কথায় কেউ কর্ণপাত করেনি বলে অভিযোগ। তাছাড়া রাজ্যের লাইফ লাইনের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার দিকে কি কারনে নজর দিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট দপ্তর সেটাই ভাবার বিষয়।অবরোধকারীরা আরো জানান, জাতীয় সড়কের উপর গর্ত গুলিতে পাথর অথবা ইট ফেলে চলাচলের উপযোগী না করলে তাদের পথ অবরোধ জারি থাকবে। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে চুরাইবাড়ি থানার পুলিশ। পুলিশ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকদের সাথে ফোন মারফত আলোচনা করে জরাজীর্ণ স্হানে এদিনই পাথর ফেলে যান চলাচলের উপযোগী করার আশ্বাস দিলে সন্ধ্যা ছয়টা নাগাদ জাতীয় সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করেন অবরোধকারীরা।তবে দীর্ঘ দুই ঘন্টা জাতীয় সড়ক অবরোধের ফলে অবরোধ স্হলের উভয় পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।