ধর্মনগর:
আবারো রাজ্য পেরিয়ে বহিঃ রাজ্যে প্রবেশের পথে উত্তর ত্রিপুরা জেলার ধর্মনগরে আটক পাঁচ বাংলাদেশী নাগরিক।তবে এবার ধর্মনগর আর পি এফের হাতে আটক বাংলাদেশী নাগরিকরা। তাদের মাঝে তিন জন পুরুষ ও দুজন মহিলা। ধৃতরা যথাক্রমে বাংলাদেশের পশুরগুনিয়া এলাকার শফিকুল ইসলাম (৪০), মোহাম্মদ রফিক (২৭), শাহাব আলী শেখ(৬১) এবং পশুখালি এলাকার মমতাজ আক্তার (১৮) ও রোজিনা বেগম(৩৫)। ধর্মনগর আর পি এফ ধৃত পাঁচ বাংলাদেশী নাগরিককে তাদের হেফাজতে রেখে জোর জিজ্ঞাসাবাদ জারি রেখেছে। ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, শনিবার সকাল আটটা নাগাদ ধর্মনগর আর পি এফের কাছে গোপন খবর আসে হামসফর এক্সপ্রেস ট্রেনে করে সন্দেহভাজন পাঁচ বাংলাদেশী নাগরিক রাজ্য পেরিয়ে বহিঃ রাজ্যের উদ্দেশ্যে যাচ্ছে।সেই মোতাবেক ধর্মনগর আর পি এফের সাব ইন্সপেক্টর এন আর দাস দলবল নিয়ে হামসফর এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে সফিকুল,রফিক,শাহাব, মমতাজ ও রোজিনা নামের সন্দেহভাজন পাঁচ বাংলাদেশী নাগরিককে আটক করে।
পরে আর পি এফের জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতরা বাংলাদেশী নাগরিক বলে স্বীকার করেছে।তারা জানিয়েছে, মাথাপিছু বাংলাদেশী রুপি কুড়ি হাজার করে দালাল তাদের অবৈধভাবে ভারতের মাটিতে পারাপার করেছে।রাতের আধারে দালাল বাংলাদেশের আমতলী নামক জায়গা দিয়ে তারকাটার বেড়া পার করে তাদের ভারত সীমান্তে পৌঁছে দিয়েছে।তবে ভারতের মাটিতে প্রবেশের সময় কোন সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীকে দেখতে পায়নি বলে ধৃতরা জানিয়েছে।তারা আরো জানায়,সেখান থেকে আগরতলা রেল স্টেশনে আসে। তারপর ব্যাঙ্গালোরের উদ্দেশ্যে হামসফর এক্সপ্রেস ট্রেনে করে বহিঃ রাজ্যে পাড়ি দেওয়ার কথা ছিল তাদের। এদিকে উল্লেখযোগ্য যে,ধৃত পাঁচ বাংলাদেশী নাগরিকের মাঝে মোহাম্মদ রফিক দীর্ঘদিন যাবৎ কর্মসূত্রে ব্যাঙ্গালোরে ছিল।এর পূর্বেও সে বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে অনেক নাগরিক ব্যাঙ্গালোর নিয়ে গিয়েছিল বলে খবর।তাই ধারনা করা হচ্ছে,ধৃত বাকি চার বাংলাদেশী নাগরিককে হয়তোবা কাজের জন্যই ব্যাঙ্গালোর নিয়ে যাচ্ছিল সে। অপরদিকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ধর্মনগর আর পি এফের সাব ইন্সপেক্টর এন আর দাস। তিনি জানিয়েছেন, গোপন খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালালে উঠে আসে এই সাফল্য। বর্তমানে পাঁচ বাংলাদেশী নাগরিককে তাদের হেফাজতে রেখে তদন্ত জারি রেখেছে আর পি এফ।