কলাছড়াঃ উত্তর জেলার কালাছড়া ব্লকের অন্তর্গত পূর্ব হুরুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে চরম দুর্নীতি ও গুণ্ডি বলে অভিযোগ তুলে যখন একই পঞ্চায়েতের সদস্য রজল সিনহা মিডিয়া ডেকে এনে বাজার গরম করছেন। ঠিক তখনই একই গ্রামের সহজ সরল মহিলারা প্রধান বেলা রাণী ঘোষের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে প্রতিবাদে সামিল হলেন। তারা পূর্ব হুরুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য রজল সিনহা এবং উপ প্রধান সুজিত চন্দের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এনে সংবাদ মাধ্যমের সামনে ক্ষোভ উগড়ে দেন। মহিলারা অভিযোগ করেন, প্রধানের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে প্রধানকে কালিমালিপ্ত করা হচ্ছে। এছাড়া একজন নির্বাচিত মহিলাকে গুণ্ডি আখ্যা দিয়ে নারী জাতিকে অপমান করছেন রজল সিনহা। তাদের অভিযোগ উপ প্রধান সুজিত চন্দের ধরুন গ্রামের মহিলারা সুরক্ষিত নয়। রাতের আধারে বহু বাড়িতে জোর পূর্বক ডুকে পড়ে উপ প্রধান সুজিত চন্দ তার বহু প্রমাণ রয়েছে। এছাড়া এই পঞ্চায়েত থেকে বিদ্যুতের খুঁটি সহ বিদ্যুৎ সংযোগ ও সরকারী আবাস যোজনার ঘর পেতে হলে দিতে হচ্ছে কুড়ি হাজার টাকা বলে অভিযোগ করেন তারা। মহিলারা জানিয়েছেন, প্রধানকে পঞ্চায়েত থেকে বের করে নিজের মর্জি মাফিক পঞ্চায়েত চালানোর জন্য এই ফন্দি করেছে রজল সিনহা। তারা বলেন এই গ্রামের মানুষ বিজেপি দলকে ভালোবাসে তবে রজল সিনহা ও তার সাঙ্গপাঙ্গের কারণে এখানকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। নারী লোভী উপ প্রধানকে সঙ্গে নিয়ে এবার মাঠে নেমেছে রজল এবং প্রধানের বিরুদ্ধে অপ্রচার করছে। ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য মঞ্জুলাল দাস জানিয়েছেন, কিছু দিন আগে গ্রামের ৫নং ওয়ার্ডের মণিপুরি মান্ডবের একটি কমিউনিটি শৌচালয়ের ট্যাংক নির্মাণের নিয়ে যে সংবাদ হয়েছিলো তা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং অসত্য। এই কাজ আইও মূলে সমঝে দিয়েছেন প্রধান। কাজটি পেয়ছেন পঁচিশ নম্বর বুথ সভাপতি নীল মাধব সিনহা যে কাজটি করছিলেন রাজমিস্ত্রী রতন গোয়ালা। আইও এবং রাজমিস্ত্রি মিলে শৌচালয়ের ট্যাংক নির্মাণ করেছে। প্রথমে পাঁচ ইঞ্চি করে ইট বসানো হলেও পরবর্তীতে এই ঘটনা দেখে আপত্তি জানানো হলে তা দশ ইঞ্চি করা হয়। তিনি বলেন এই ট্যাংক নির্মাণ কে কেন্দ্র করে পঞ্চায়েত সদস্যরা মিলে মিডিয়ার কাছে বয়ান দিচ্ছেন। অথচ তিনি এই ওয়ার্ডের মেম্বার হয়ে কিছুই জানেন না। তিনি এই সংবাদ দেখতে পেয়ে গ্রামের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে এর সত্য উদ্ঘাটনের জন্য সামনে এসেছেন মিডিয়াকে জানাবেন বলে। তিনি বলেন গ্রামের প্রধান বেলা রাণী ঘোষ নির্দোষ তিনি কোন দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত আগেও ছিলেন না এখনো নেই। তিনি বলেন এই কাজ প্রধান থেকে চেয়ে নিয়েছিলেন নীল মাধব সিনহা এবং কাজটি ভালো ভাবে করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু বর্তমানে তিনি রজল সিনহার সাথে ঘাট বেধে মিডিয়া ডেকে প্রধানের বিরুদ্ধে প্রচার করছেন যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তিনি বলেন এই কমিউনিটি শৌচালয়ের ট্যাংক নির্মাণে কোন দুর্নীতি হলে এর দায় নীল মাধব সিনহা ও মিস্ত্রী রতন গোয়ালার। এদিন গ্রামের মহিলারা একযোগে পঞ্চায়েত সদস্য রজল সিনহা ও উপ প্রধান সুজিত চন্দের বিরুদ্ধে অভিযোগের ফুলঝুরি ছুড়ে এক রাশ ক্ষোভ উগড়ে দেন।