বিলোনিয়াঃ পুলিশ নাকি,গুন্ডা। রক্ষক নাকি ভক্ষক এই নিয়ে রাজনগর ব্লক জুড়ে চলছে গুঞ্জন। খাকি উর্দি যখন গায়ে উঠে তখন রক্ষা কর্তা হিসেবে শপথ নিয়ে দায়িত্ব পালন করার থাকলেও, সেই খাঁকি উর্দিধারীরা আজ রক্ষা কর্তা না হয়ে রাতের আধারে তল্লাশির নামে হামলা চালিয়ে ঘরের জিনিসপত্র তছনছ করার অভিযোগ সহ বাড়ীর গৃহবধূর গায়ে হাত দেওয়ার মত অভিযোগ উঠে এল রাজনগর ব্লকের ভারত বাংলা সীমান্ত রাধানগর এলাকার লক্ষ্মী সাহা পাড়াতে। ছিল না কোন আদালতের ওয়ারেন্ট কাগজ। এই ওয়ারেন্ট কাগজ ছাড়াই কি করে আপন উচাই নামে এক পুলিশ কনস্টেবলের সহ আরো কিছু পুলিশ কর্মী রাতের বেলা তল্লাশির নামে ঘরে ঢুকে লোকজনদের হয়রানি এবং গৃহবধূর গায়ে হাত দেওয়া সহ ঘরের জিনিসপত্র লন্ডভন্ড করে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। আপন উচাই রাঙ্গামুড়া ফাঁড়িতে পুলিশ কনস্টেবল পদে কর্মরত। অবৈধ নেশা পাচার কারীদের সাথে সখ্যতা রয়েছে তার,যা কান পাতলেই শোনা যায়। মাসে মাসে হাপ্তার বিনিময়ের আদান প্রদানে মাহির পুলিশ কনস্টেবল আপন উচাই।
পিআরবাড়ি থানা সহ রাঙ্গামুড়া ফাঁড়ির বড়ো মাপের পুলিশ আধিকারিকের হাত মাথায় থাকার কারণে নাকি পুলিশ কনস্টেবল আপন উচাইয়ের গুন্ডাগিরি। অভিযোগ যখন তখন ঢুকে যাচ্ছে বাড়িঘরে, তল্লাশির নামে চলছে গৃহবধূর গায়ে হাত দেওয়া এবং বাড়ির জিনিস পত্র লন্ডভন্ড থেকে শুরু করে অযাথা হয়রানি। এমনকি বাড়ির মালিক অনুপস্থিত থাকা সত্ত্বেও ঘরের তালা ভেঙ্গে ঘরের ভেতরে ঢুকে যাচ্ছে পিআরবাড়ি থানার অন্তর্গত রাঙ্গামুরা ফারির কিছু খাঁকি উর্দিধারীরা এমনই অভিযোগ রয়েছে। এই বিষয়ে ক্ষুব্ধ লক্ষ্মী সাহা পাড়ার বাসী বিষ্ণু কান্তি দে আদালতে মামলা দায়ের করতে যাচ্ছে। এই বিষ্ণু কান্তি দের বাড়ীতে নাকি পুলিশ কনস্টেবল আপন উচাই সহ কয়েকজন পুলিশ কর্মী কোন কারন ছাড়াই মঙ্গলবার গভীর রাতে হঠাৎ তল্লাশি চালায়। এই তল্লাশির নামে রাতভর চলে বাড়ির জিনিস পত্র লন্ডভন্ড সহ বিষ্ণু কান্তি দের পরিবারের লোকদের হয়রানী এমনই অভিযোগ। আরো অভিযোগ বিষ্ণু কান্তি দের বাবা শিলচরে অবস্থানরত চিকিৎসার কারণে। পুলিশের সাথে নেশা কারবারি দের গোপন বোঝা পড়া রেখে, সাধারণ মানুষদের উপর তল্লাশির হয়রানির ঘটনাকে ঘিরে ছিঃ ছিঃ রব উঠছে। এখন প্রশ্ন হলো পুলিশের কাছে বিষ্ণু কান্তি দের সম্পর্কে অভিযোগ থাকলে, তাহলে রাতে কেন তল্লাশি। আর যদিওবা তল্লাশি চালানোর প্রয়োজন হয় তাহলে উচ্চ পর্যায়ের পুলিশ আধিকারিক বা আদালত থেকে কেন ওয়ারেন্ট কাগজ নিল না পুলিশ কনস্টেবল আপন উচাই এই প্রশ্নই উঠছে রাজনগর ব্লক জুড়ে।