পানিসাগরঃ প্রতিবেশীর ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হয়ে ঘর ছাড়া এক দম্পতি।থানায় একাধিক মামলা করলেও পুলিশের ভূমিকা সন্দেহজনক। নিরুপায় হয়ে পুলিশ সুপারের দারস্থ আক্রান্ত দম্পতির।ঘটনা উত্তর ত্রিপুরা জেলার পানিসাগর থানাধীন পূর্ব রৌয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দুই নং ওয়ার্ডের বত্রিশদ্রোন এলাকায়। ঘটনার বিবরণে জানা গেছে,গত মে মাসের কুড়ি তারিখ বত্রিশদ্রোন এলাকার বাসিন্দা আছাদ উদ্দিন কাজে বেরিয়ে গেলে দুপুর একটা নাগাদ স্ত্রী নাজমিনা খাতুন পাশের বাড়িতে বেড়াতে যান।তখন ঘরে থাকা তাদের তিন ছেলে পাশের ঘরের নেহারুন বেগমের সন্তানদের সাথে খেলা করছিল। ঠিক তখন নেহারুন নাজমিনাকে ফোন করে জানায় তাদের বাচ্চাদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছে।তড়িঘড়ি নাজমিনা বাড়িতে ফিরে এলে নেহারুন তার সাথে বাকবিতণ্ডা শুরু করে বলে অভিযোগ।একটা সময় উত্তেজিত হয়ে নেহারুন ধারালো দা দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ দিতে থাকে নাজমিনার উপর বলেও অভিযোগ।তাতে করে তার বা হাত গুরুতর ভাবে কেটে যায়।তখন সংজ্ঞা হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে প্রতিবেশী ও স্বামী বাড়িতে ছুটে এসে তাকে হাসপাতালে নিয় যান। হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা করে আহত মহিলাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।ঘটনার পর অভিযুক্ত মহিলা নেহারুনের বিদেশে কর্মরত স্বামী আব্বাস উদ্দিন টেলিফোনের মাধ্যমে ঘটনাটি সালিশি সভার মাধ্যমে মিটমাটের চেষ্টা করেন। কিন্তু তার স্ত্রী অর্থাৎ অভিযুক্ত মহিলা বাড়ি থেকে অন্যত্র সরে যায়,তাই মিমাংসা হয়নি।তখন এদিন রাতেই আহত মহিলার পরিবারের তরফে পানিসাগর থানায় ঘটনাটি অবগত করলে পরদিন অর্থাৎ একুশ মে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্হানীয় থানার পুলিশ। অভিযোগ, এরপর অভিযুক্ত মহিলা বাড়িতে ফিরে এসে আহত নাজমিনার স্বামীকে ধর্ষনের মামলা সহ মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিতে থাকে। অবশেষে তেইশ মে লিখিত ভাবে ঐ মহিলার উপর আরেকটি মামলা রুজু করে আহত মহিলার স্বামী। তারপর থেকে ভয়ে বাড়ি ছেড়ে স্ত্রী সন্তান নিয়ে ধর্মনগর দূর্গাপুর স্তিত শশুর বাড়িতে আশ্রয় নেয় আহত মহিলার স্বামী।এরিমাঝে আহত মহিলার শারিরীক অবস্থা অবনতি ঘটলে তিনদিন ধর্মনগর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা চলে। এদিকে দীর্ঘ তেরো দিন কেটে গেলেও স্হানীয় থানার পুলিশ কোন সন্তুষ্টি জনক ভূমিকা গ্রহন করেনি বলে আক্রান্ত পরিবারের অভিযোগ। অবশেষে নিরুপায় হয়ে চলতি মাসের তিন তারিখ সুবিচারের আশায় পুলিশ সুপারের দারস্থ হয়ে সুবিচারের আশায় লিখিত অভিযোগ জানায় আক্রান্ত মহিলা ও তার পরিবার।আহত মহিলা ও তার স্বামী জানান,তারা ন্যায় বিচার চান,তাছাড়া তারা বাড়িতে ফিরে যেতে চান।ঐ মহিলার ভয়ে পনেরো দিন যাবৎ বাড়ি ছাড়া।পানিসাগর থানার পুলিশ কি অদৃশ্য কারনে তাদের একাধিক অভিযোগকে পাত্তা দিচ্ছেন না।তাই তারা পুলিশ সুপারের দারস্থ হতে বাধ্য হয়েছেন।এখন দেখার বিষয়, আক্রান্ত পরিবারটি কতটুকু ন্যায় বিচার পায়।