বাঘনঃ জমি সংক্রান্ত বিবাদকে কেন্দ্র করে বাঘন এলাকায় লঙ্কাকান্ড।সারা রাত পর্যন্ত চললো পুলিশি টহলধারী। জানা গেছে, উত্তর ত্রিপুরা জেলার চুরাইবাড়ি থানাধীন বাঘন গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মাখন মালাকার কুড়ি বছর পূর্বে তার প্রতিবেশী শামসুদ্দীন চৌধুরীর পরিবারের কাছ থেকে পঞ্চাশ শতক টিলা জমি ক্রয় করেন। সেই মোতাবেক জমির পর্চা ও দলিল বের হয় মাখন মালাকারের নামে। কিন্তু পরবর্তী সময় শামসুদ্দিন ওই জমি জবরদখল করতে থাকে বলে অভিযোগ।বর্তমানেও সে নিজের দখলে রেখেছে বিক্রি করা ওই টিলা জমিটি। এ নিয়ে দুপক্ষই থানা ও পরবর্তী সময়ে কোর্টে মামলা করে। এমনকি শেষ পর্যন্ত মামলা গড়ায় ত্রিপুরা হাই কোর্টে।সেখান দীর্ঘ আইনী লড়াইয়ের পর হাইকোর্টের মাননীয় বিচারপতি মাখন মালাকারের পক্ষে রায় দেন। কিন্তু সেটাকেও বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে জমি জবরদখল করে বসে শামসুদ্দিন বলে অভিযোগ। এমনকি শুক্রবার সে ওই টিলা জমিতে রাতারাতি ঘর বানাতে থাকে। তখন মাখন মালাকারের স্ত্রী ও ছেলেরা বাঁধা দিলে তাদের উপর সে তেরে আসে বলেও অভিযোগ।তাছাড়া রাতের আঁধারে শামসুদ্দিন ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা মাখন মালাকারের পরিবারের লোকজনদের উপর আক্রমন চালায়।অবশ্য তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত থাকলেও তারা পুলিশের কথা না মেনে প্রতিপক্ষের উপর চড়াও হয়। এই সময় তাদের মারে মাখন মালাকারের স্ত্রী আহত হওয়ায় তাকে কদমতলা সামাজিক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে তড়িঘড়ি পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে পুলিশ। অবশ্য মাখন মালাকারের পরিবার নিজেদের জমি ফিরে পেতে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছে।সাথে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করছে।