বিলোনিয়াঃ অবশেষে বিলোনিয়া থানার ওসি পরিতোষ দাসের নেতৃত্বে সফলতা পেল বিলোনিয়া থানার পুলিশ। গত কাল রাতে নাইট ডিউটি করার সময় রুটিন মাফিক রাতে গাড়ি চেকিং করতে গিয়ে বিলোনিয়া থানাধীন মতাই এলাকায় TR 07A 1531 নম্বরের একটি বুলের ও ট্রাক গাড়িকে থামার জন্য সিগনাল দেয়। কিন্তু গরু বোঝাই গাড়িটি না থেমে দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। সাথে সাথে ওসি সহ বিলোনিয়া থানার পুলিশ গাড়িটির পিছু পিছু ধাওয়া করতে থাকে। অধিক রাত পর্যন্ত ঋষ্যমুখের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে রামরাইবাড়ি, মনিরামবাড়ী হয়ে বাইখোরা থানাধীন জোলাইবাড়ি এলাকায় প্রবেশ করে। সেখান থেকে অবশেষে রাত প্রায় তিনটা নাগাদ বাইখোরা থানার পুলিশের সহযোগিতায় বাইখোড়া এলাকায় গাড়িটিকে আটক করতে সক্ষম হয়। সেই সাথে গাড়িতে থাকা সাতটি গরু সহ গাড়ির চালক রঞ্জিত পাল (২৭) সহ গাড়িতে থাকা সুজন দাস (৩৪) এবং অজিত পাটারি (২৪) এই তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদের মধ্যে রঞ্জিত পাল এবং সুজন দাসের বাড়ি শান্তিরবাজার থানাধীন লাউগাং এলাকায় এবং অজিত পাটারির বাড়ি একই থানাধীন পতিছড়ি এলাকায়। তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির 279, 353 382(F) ধারা এবং 11 Prevention of Animal cruelty Act, এছাড়াও 184,192(A) MV Act মূলে মামলা গ্রহণ করে বিলোনিয়া থানার পুলিশ যার কেস নম্বর 38/23। আজ তাদের বিলোনিয়া আদালতে পাঠিয়ে বিলোনিয়া থানার পুলিশ এই তিনজনকে জুডিশিয়াল কাস্টডি রিমান্ড চেয়েছে। তবে গাড়ি ধাওয়া করার সময় গাড়িতে থাকা একটি ছোট গরু অন্য গরুদের চাপে পড়ে মারা যায়। একটি ছোট গাড়িতে এতগুলি গরু কি করে নেওয়া যায় এই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। গতকাল রাতের এই ঘটনায় প্রমাণ মিলে বিলোনিয়ার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে এখনো গরু পাচারকারী চক্র গুলি সক্রিয় রয়েছে। প্রতিনিয়ত এইভাবে রাতের আঁধারে গরু পাচার হতে থাকলেও দু-একটি ঘটনা পুলিশ কিংবা বিএসএফ ধরতে পারলেও বেশিরভাগই অধরা থেকে যায় কোন এক অজ্ঞাত কারণে। এখন দেখার বিষয় আগামী দিনেও এই ধরনের অভিযান জারি থাকে কিনা এবং গরু পাচারকারীর পান্ডারা ধরা পড়ে কিনা।