ধর্মনগরঃ
আধুনিকতার সাথে পরিবার এবং সম্পর্কগুলোও আজ দুষিত হয়ে পড়ছে। সামাজিক অবক্ষয়ে সম্পর্কগুলো আজ আবেগ এবং সম্মান হারাচ্ছে। স্ত্রীর ধারালো অস্ত্রে স্বামী গুরুতর আহত , এই খবরের ১২ ঘণ্টার মধেই এবার স্বামির ছুরির আঘাতে আহত স্ত্রী।
তহশিল কাছারি অফিসে বসে কাজ করার সময় প্রকাশ্যে স্বামীর ছুরিকাঘাতে আহত তহশিলদার স্ত্রী।আহত স্ত্রীর নাম পম্পা দেব কানঙ্গ। পুলিশ অভিযুক্ত স্বামী জুয়েল দত্তকে গ্রেফতার করে তদন্ত শুরু করেছে।ঘটনা উত্তর ত্রিপুরা জেলার ধর্মনগর শহরের প্রান কেন্দের তহশিল কাছারি অফিসে। জানা গেছে,প্রতিদিনের মতো বুধবার বিকেলে ধর্মনগর তহশিল কাছারি অফিসে বসে কাজ করছিলেন তহশিলদার পম্পা দেব কানঙ্গ। সেই সময় অফিসে আসে তার স্বামী জুয়েল দত্ত। অফিসে এসে স্ত্রীর হাত থেকে মোবাইল ফোনটি কেড়ে নেয়।পরে স্ত্রীকে বলে কার সাথে কথা বলেছো। এরপর শুরু হয় তাদের মাঝে বাকবিতণ্ডা। একসময় একটি ধারালো ছুরি দিয়ে স্ত্রীর পেটে আঘাত করে সে। সেই সময় অফিসে অন্যান্য কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। সকলের সামনেই এই ঘটনা সংঘটিত হয়। পরবর্তীতে দমকল কর্মীদের সহযোগিতায় রক্তাক্ত অবস্থায় পম্পাকে নিয়ে যাওয়া হয় ধর্মনগর জেলা হাসপাতালে। বর্তমানে জেলা হাসপাতালেই তার চিকিৎসা চলছে। এদিকে ঘটনার পর ঘাতক স্বামীকে ছুরি সহ আটক করেছে ধর্মনগর থানার পুলিশ।সাথে সরকারি অফিসে ঢুকে সরকারি কর্মচারীর উপর প্রানঘাতী আক্রমনের অভিযোগে একটি মামলা হাতে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে স্হানীয় থানার পুলিশ। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে জেলা হাসপাতালে ছুটে আসেন মহকুমা শাসক সহ অফিসের কর্মচারীরা।তারা এসে আহত পম্পার শারিরীক খোঁজখবর নেন। অপরদিকে আহত স্ত্রী জানান,তার স্বামী দীর্ঘদিন যাবৎ তার উপর শারিরীক ও মানসিক অত্যাচার চালিয়ে আসছে। স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে সে ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নেয়।আর তার পর থেকেই তাকে প্রানে মারার হুমকি দিতে থাকে স্বামী।