
পানিসাগরঃ চেয়ারে বসেই পাচারকারীদের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করলেন উত্তর ত্রিপুরা জেলার পানিসাগর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সৌম্য দেববর্মা ও দামছড়া থানার ওসি রাজু ভৌমিক। মূলত দামছড়া থানা এলাকায় রয়েছে ত্রিপুরা মিজোরাম ও ত্রিপুরা অসম সংযোগী একাধিক সড়ক। পুলিশ প্রশাসনের দৃষ্টি সর্বদা চুরাইবাড়ি ও কদমতলা থানা এলাকায় থাকলেও বাস্তবে যে দামছড়া এলাকা নেশা কারবারি থেকে শুরু করে গবাদিপশু পাচারকারীদের করিডোর তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কেননা, ত্রিপুরা মিজোরাম সংযোগী সড়ক দিয়ে নেশা সামগ্রী সহ বার্মিজ গরু ও বার্মিজ সুপারি রাজ্যে রাজ্যে প্রবেশ করছে।সাথে ত্রিপুরা অসম সংযোগী সড়ক দিয়েও নেশা সামগ্রী সহ নিষিদ্ধ শুয়র রাজ্যে প্রবেশ করছে। কিন্তু পূর্বে দামছড়া থানা মদ বিরোধী অভিযান ও মাঝে মধ্যে হেরোইন উদ্ধার করে বীরত্ব জাহির করতো।সম্প্রতি মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ও দামছড়া থানার ওসি রদবদল হয়ে নব্যরা চেয়ারে বসেই দামছড়া এলাকায় পাচারকারীদের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছেন।চলতি মাসের শেষ দিকে দামছড়া থানার ওসি লরি বোঝাই অবৈধ বার্মিজ সুপারি উদ্ধার করার কয়েকদিনের মাথায় সোমবার শেষ রাতে লরি বোঝাই অবৈধ বার্মিজ গরু উদ্ধার করেন। জানা গেছে,গোপন খবরের ভিত্তিতে ওসি রাজু ভৌমিক দলবল নিয়ে সোমবার সন্ধ্যা থেকে ত্রিপুরা মিজোরাম সীমান্তের মোজাফফর নগর এলাকায় ওৎপেতে বসে থাকেন। ঠিক রাত সাড়ে তিনটা নাগাদ মিজোরাম থেকে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে AS01FC/0086 নম্বরের একটি বারো চাকার লরি রাজ্যে প্রবেশ করে।তখন ঐ লরিটিকে দাড় করিয়ে তল্লাশি চালালে লরির ভেতর থেকে বারোটি বার্মিজ গরু উদ্ধার হয়।সাথে সাথেই লরিতে থাকা চালক লিটন মিয়া(৩০),সহ চালক জামাল হোসেন (২৭) ও আব্দুল ফাতার নামের এক পাচারকারীকে আটক করে পুলিশ। জানা গেছে চালক ও সহ চালকের বাড়ি মেলাঘর ও সোনামুড়া এবং পাচারকারীর বাড়ি দামছড়া এলাকায়।ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে ছুটে যান মহকুমা পুলিশ আধিকারিক।ইতিমধ্যে পুলিশ অবৈধ বার্মিজ গরু সমেত লরিটিকে বাজেয়াপ্ত করেছে।সাথে একটি মামলা হাতে নিয়ে মঙ্গলবার ধৃত তিনজনকেই ধর্মনগর জেলা আদালতে সোপর্দ করেছে। এদিকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মহাকুমা পুলিশ আধিকারিক জানান,গোপন খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালালে উঠে আসে এই সাফল্য।উদ্ধারকৃত বার্মিজ গরু গুলি বার্মা থেকে মিজোরামের বুক চিরে মোজাফফর নগর হয়ে সোনামুড়া নিয়ে যাবার কথা ছিল বলে ধৃতরা জানিয়েছে। তিনি জানিয়েছেন,এই গরু পাচার বানিজ্যের সাথে কারা কারা জড়িত রয়েছে তা তদন্তের মাধ্যমে চিহ্নিত করে তাদেরকে গ্রেফতার করা হবে।পাশাপাশি তিনি পাচারকারীদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন,নেশা সামগ্রী পাচার বানিজ্য থেকে শুরু করে, বার্মিজ সুপারি, বার্মিজ গরু ও নিষিদ্ধ শুয়র পাচারকারীদের অতি শীঘ্রই জালে তুলবে পুলিশ।