IPL :
পঞ্চম বারের জন্য আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়ে পুরস্কার মূল্য বাবদ ২০ কোটি টাকা পেয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস। রানার্স হওয়ায় গুজরাত টাইটান্স পেয়েছে ১২ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা। এ ছাড়া বেশ কিছু ব্যক্তিগত পুরস্কারও দেওয়া হয়েছে খেলা শেষে।
ফাইনালে হারলেও ব্যক্তিগত পুরস্কারের তালিকায় শীর্ষে শুভমন গিল। তিনি একাই চারটি পুরস্কার পেলেন। আইপিএল ফাইনাল শেষ হওয়ার পরে ব্যক্তিগত সব পুরস্কার ঘোষণা করা হল। সেই তালিকায় মহম্মদ শামি, যশস্বী জয়সওয়ালরাও রয়েছেন।
আইপিএলের কমলা টুপি পেলেন শুভমন। এ বারের প্রতিযোগিতায় ১৭টি ম্যাচে ৮৯০ রান করেছেন তিনি। ৫৯.৩৩ গড় ও ১৫৭.৮০ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন তিনি। তিনটি শতরান ও চারটি অর্ধশতরান করেছেন শুভমন। এ বারের আইপিএলে সব থেকে বেশি চারও মেরেছেন শুভমন। ৮৫টি চার মেরে সেই পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। এই মরসুমের ‘গেম চেঞ্জারের’ পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে প্রতিযোগিতার সব থেকে মূল্যবান ক্রিকেটারের পুরস্কারও জিতেছেন গুজরাতের এই ব্যাটার। প্রতিটি পুরস্কারের জন্য ১০ লক্ষ টাকা করে মোট ৪০ লক্ষ টাকা পেয়েছেন শুভমন।
আইপিএলের বেগনি টুপি পেয়েছেন মহম্মদ শামি। গুজরাতের এই বোলার ১৭ ম্যাচে ২৮টি উইকেট নিয়েছেন। ওভার প্রতি ৮.০৩ রান দিয়েছেন শামি। নতুন বলে দলকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ উইকেট এনে দিয়েছেন শামি। তিনিও পেয়েছেন ১০ লক্ষ টাকা।
এ বারের আইপিএলের উঠতি প্রতিভা (এমারজিং প্লেয়ার) হয়েছেন যশস্বী জয়সওয়াল। ১৪ ম্যাচে ৬২৫ রান করেছেন ভারতের এই তরুণ ক্রিকেটার। ভাল খেলায় ভারতের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল দলে সুযোগ পেয়েছেন যশস্বী। তিনিও ১০ লক্ষ টাকা পেয়েছেন।
এ ছাড়া আইপিএলের সব থেকে ভাল স্ট্রাইক রেটের পুরস্কার পেয়েছেন আরসিবির গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। গোটা প্রতিযোগিতায় ১৮৩ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন তিনি। সব থেকে লম্বা ছক্কা মারার পুরস্কার পেয়েছেন আরসিবির অধিনায়ক ফ্যাফ ডুপ্লেসি। লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে ১১৫ মিটার লম্বা ছক্কা মেরেছেন তিনি। ম্যাক্সওয়েল ও ডুপ্লেসি দু’জনেই ১০ লক্ষ টাকা করে পেয়েছেন।
প্রতিযোগিতার সেরা ক্যাচের পুরস্কার পেয়েছেন গুজরাতের রশিদ খান। লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে তাঁর ক্যাচ সেরা বিবেচিত হয়েছে। তিনিও ১০ লক্ষ টাকা পেয়েছেন।
এ বারের আইপিএলের ফেয়ার প্লে পুরস্কার পেয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। সেরা মাঠ ও পিচের পুরস্কার পেয়েছে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্স ও মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম।