তেলিয়ামুড়াঃ
অভিনব পন্থা অবলম্বন করে রেলের জলের ট্যাংক’কে ব্যবহার করে তেলিয়ামুড়া’কে করিডোর বানিয়ে বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই গাঁজা সহ রকমারি নেশা সামগ্রী পাচারকারীরা পাচার করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখে চলেছে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তেলিয়ামুড়ার পুলিশের চোখে ধুলো দিতে ব্যার্থ হচ্ছেন পাচারকারীরা। আরও একবার এরকমই এক চিত্র উঠে আসলো তেলিয়ামুড়া থেকে।
শনিবার গভীর রাতে তেলিয়ামুড়া থানার সুদক্ষ ও.সি সুব্রত চক্রবর্তীর নেতৃত্বে একদল পুলিশ সফল অভিযানের মধ্য দিয়ে চার চার জন গাঁজা পাচারকারী কে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়ার সময় বিপুল পরিমাণে গাঁজা এবং একটি যাত্রী পরিবহনকারী অটো আটক করে।
গোটা বিষয় নিয়ে সংবাদ মাধ্যমকে অবগত করতে গিয়ে সুব্রত চক্রবর্তী দাবি করেছেন,,, সূত্র মারফত খবরের ভিত্তিতে স্থানীয় খামারবাড়ি এলাকা থেকে রাতের আঁধারে এক যাত্রীবাহী অটো সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করাতে এবং গোপন খবরের ভিত্তিতে আটক করে তল্লাশি চালিয়ে প্রত্যক্ষ করা যায় TR01 F 3776 নম্বরের অটোতে থাকা দুই যুবক বেশ কিছু গাঁজা পাচার করছিল, সঙ্গে সঙ্গে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ত্রিশাবাড়ি স্থিত রেল স্টেশন থেকে আরো দুই(২)জন গাঁজা পাচারকারীকে পুলিশ আটক করেছে বলে জানিয়েছেন শ্রী চক্রবর্তী ।
আটককৃত গাঁজার পরিমাণ প্রায় ১৫০ কেজি, অতএব গাঁজার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৭৫ লাখ টাকা হতে পারে বলে পুলিশের অনুমান।
তাছাড়া সুব্রত বাবু জানিয়েছেন,, পাচারকারীদের কাছ থেকে একটি লোহার গোল জাতীয় কিছু গাঁজার সঙ্গে বাজেয়াপ্ত করেছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে,, এটি রেলের বগির মধ্যে থাকা জলের ট্যাঙ্কির ঢাকনা। মূলত নিজেরা এটি তৈরি করে পাচার কার্যের সুবিধার্থে সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিল। যাতে করে রেলের জলের ট্যাংকের ঢাকনা ভেঙ্গে ট্যাংকের ভেতরে গাজার প্যাকেট রেখে তাদের তৈরি করা ঢাকনাটি ট্যাঙ্কে লাগিয়ে গাঁজা পাচার করতে পারে।
তবে পুলিশ সূত্রে দাবী করা হয়েছে,, আটককৃত ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ধারায় মামলা গ্রহণ সাপেক্ষে তদন্ত করে এর পেছনে আর কারা কারা জড়িত রয়েছে সবকিছু বের করার চেষ্টা হবে।
সুব্রত চক্রবর্তীর নেতৃত্বে নেশা বিরোধী অভিযানে তেলিয়ামুড়া পুলিশের এই বিশেষ তৎপরতা নিয়ে খবর চাউর হতেই ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে তেলিয়ামুড়া জুড়ে। পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী গাঁজা পাচার কাণ্ডে আটককৃত ব্যক্তিরা হল… অমিত দেববর্মা, ড্যানিয়েল দেববর্মা, শামিম শেখ ও যোদ্ধ দেববর্মা। এর মধ্যে তিনজনের বাড়ি ত্রিপুরায় ও বাকি একজনের বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে।