ধর্মনগরঃ রাজ্য থেকে অসমে প্রবেশের পথে অসম পুলিসের হাতে আটক দশ লক্ষাধিক টাকার বার্মিজ সুপারি।সাথে আটক করা হয় লরি চালককে।জানা গেছে,গোপন খবরের ভিত্তিতে অসমের করিমগঞ্জ জেলার কুকিতল পুলিস পেট্রোল পোষ্টের কর্মীদের সহযোগে কাঠালতলি পুলিস ফাঁড়ির ইনচার্জ আশিষ মোহন্ত শনিবার সকালে কুকিতল এলাকায় ওৎপেতে বসেছিলেন। সেই সময় TR05E/1866 নম্বরের TATA YODHA মিনি লরিটি আসলে তা দাড় করায় পুলিস। তারপর মিনি লরিতে তাল্লাশি চালিয়ে ৬৩ বস্তায় ২৮ কূইন্টাল সন্দেহভাজন বার্মিজ সূপারি উদ্ধার করতে সক্ষম হয় অসম পুলিস।সাথে আটক করা হয় লরি চালক সিতু দাসকে। ধৃত চালকের বাড়ি ত্রিপুরার পানিসাগরের জুলাইবাসা এলাকায় বলে জানা গেছে।
এদিকে অসম পুলিস জানিয়েছে, উদ্ধারকৃত বার্মিজ সূপারির কালোবাজারি মূল্য আনুমানিক দশ লক্ষাধিক টাকা।বর্তমানে মিনি লরি বোঝাই বার্মিজ সুপারি সহ চালক অসম পুলিসের হেফাজতে রয়েছে। অপরদিকে উল্লেখযোগ্য বিষয়, দীর্ঘদিন যাবৎ ত্রিপুরা থেকে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে অসমে বার্মিজ সুপারি পাচার বানিজ্য চলে আসছে। যদিও অসম পুলিস লরি বোঝাই বার্মিজ সুপারি আটক করছে। কিন্তু কি অদৃশ্য কারনে ত্রিপুরা পুলিস বার্মিজ সুপারি ধরপাকড়ে কোন ভূমিকা নিচ্ছে না। বিশেষ করে সুপারি পাচারকারীরা চুরাইবাড়ি থানার অসাম আগরতলা জাতীয় সড়ক ও কদমতলা থানার মধ্য রাজনগর সীমান্ত দিয়ে অনায়াসে অবৈধ বার্মিজ সুপারি অসমে পাচার করছে। সেক্ষেত্রে কিছু কিছু পুলিস কর্মী জড়িত রয়েছে বলে খবর। উত্তর জেলার পুলিস সুপার ভানুপদ চক্রবর্তী একজন সৎ নিষ্ঠাবান পুলিস অফিসার।আর তাঁর সততাকে পুঁজি করে কদমতলা ও চুরাইবাড়ি থানার কিছু পুলিস কর্মী সরাসরি পাচারকারীদের সাথে যুক্ত হয়ে বার্মিজ সুপারির পাচার বানিজ্যে মদত দিয়ে আসছে বলে অভিযোগ।তাই বার্মিজ সুপারি পাচার বানিজ্য রোধে পুলিস সুপারের হস্তক্ষেপের দাবি করেন ত্রিপুরা অসম সীমান্তের জনগণ।