বিলোনিয়াঃ একদিকে খাদ্য দপ্তরের নিয়মের বেড়াজাল অন্যদিকে রেশন ডিলারের অমানবিকতায় আশি বছরের বৃদ্ধা লক্ষী গুহ দেড় বছর ধরে রেশন চাল থেকে বঞ্চিত এই সংবাদ আটইমে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয় । প্রকাশ হওয়ার বারো দিনের মাথায় ঘুম ভাঙ্গলো বিলোনিয়া খাদ্য দপ্তর সহ মহকুমা প্রশাসনের। আজ সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ অতিরিক্ত মহকুমা শাসক আশিষ বিশ্বাস ও খাদ্য দপ্তরের এক আধিকারিক হানা দেয় বিলোনিয়া বনকর নদীর উত্তর পাড়ের সুকান্ত কলোনি নয়ন সেনের সরকারি নায্য মূল্যের দোকানে । সেখানে গিয়ে সরকারি নায্য মূল্যের দোকানের স্টক রেজিস্ট্রার মেনটেইন খাতা খতিয়ে দেখেন এবং আশি বছরের বৃদ্ধা লক্ষী গুহের বিষয়ে খোঁজ খবর নেন। সেখান থেকে অতিরিক্ত মহকুমা শাসক আশিষ বিশ্বাস ও খাদ্য দপ্তরের এক আধিকারিক রাম ঠাকুর পাড়া এক নং ওয়ার্ড এলাকাতে আসেন বৃদ্ধা লক্ষী গুহের মেয়ে পূর্ণিমা গুহ দাসের বাড়িতে। এই পূর্ণিমা গুহ দাস বৃদ্ধা লক্ষী গুহের মেয়ে , মেয়ের বাড়িতে আশ্রয় স্থল বৃদ্ধরা। অতিরিক্ত মহকুমা শাসক পূর্ণিমা গুহ দাস ও বৃদ্ধা লক্ষী গুহের সাথে কথা বলেন। সব কিছু শোনার পর অতিরিক্ত মহকুমা শাসক আশিষ বিশ্বাস, কি ভাবে রেশন পেতে পারে সেই বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে দেন। এরপর সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অতিরিক্ত মহকুমা শাসক আশিষ বাবু জানান, বর্তমানে রেশন সপে ডিজিটাল সিস্টেম । সেই ডিজিটাল সিস্টেম অনুযায়ী একটা মেশিনে ফিঙ্গার প্রিন্ট দিলে একাউন্ট খুলে যায় তখন রেশন ডিলার গ্রাহকদের রেশন সামগ্রী দিতে পারে । কিন্তু এখানে লক্ষ্মী গুহের বয়সের কারণে হাতের আঙ্গুলের ছাপ মেশিনে রিড না করার কারণে রেশন ডিলার রেশন সামগ্রী দিতে পারেনি এটাই তদন্তে উঠে এসেছে বলে জানান অতিরিক্ত মহকুমা শাসক । বৃদ্ধা লক্ষ্মী গুহের রেশন সামগ্রী পেতে হলে কাউকে নমিনিও করে দিতে হবে তারপরে রেশন সামগ্রী পাবে বলে জানান অতিরিক্ত মহকুমা শাসক । এই আশ্বাস কি বাস্তবে হবে । বৃদ্ধা কি পাবে রেশন সামগ্ৰী এই নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে বিলোনিয়া মহকুমা জুড়ে।