Home BREAKING NEWS পঞ্চাশ লক্ষাধিক টাকার শুকনো গাঁজা সমেত ধৃত চার

পঞ্চাশ লক্ষাধিক টাকার শুকনো গাঁজা সমেত ধৃত চার

by News On Time Tripura
0 comment

চুরাইবাড়িঃ গাঁজা পাচার যেন থামার নাম নিচ্ছেনা। লোক দেখানো অভিযানের পাশাপাশি চুটিয়ে চলছে গাঁজা চাষও । আর রাজ্যের বাইরে বেরোতে গিয়ে ধরা পরছে প্রায়শই। অসমে পাচারের পথে আটক পৃথক দুটি লরি বোঝাই পঞ্চাশ লক্ষাধিক টাকার শুকনো গাঁজা।আটক করা হয় দুটি লরির চালক ও সহ চালকদের।ঘটনা উত্তর ত্রিপুরা জেলার চুরাইবাড়ি থানাধীন ত্রিপুরা অসম সীমান্তে।জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ গোপন খবরের ভিত্তিতে চুরাইবাড়ি থানার ওসি ধ্রুবজ্যোতি দেববর্মার নেতৃত্বে পুলিশ থানার নাকা পয়েন্ট অর্থাৎ ৮ নং আসাম আগরতলা জাতীয় সড়কের উপর তল্লাশি চালিয়ে AS27C/6593 বারো চাকার লরি এবং NL01Q/3478 নম্বরের কনটেইনার লরি দুটি আটক করে।পরে দুটি লরিতে তল্লাশি চালিয়ে লরির কেভিনের গোপন কক্ষ থেকে একটিতে ৫২ প্যাকেট ১৬৬ কেজি এবং অপরটি থেকে ৫৩ প্যাকেটে ৩৭৮ কেজি শুকনো গাঁজা উদ্ধার করে পুলিশ।সাথে আটক করা হয় বারো চাকার লরি চালক দেবানন্দ রুপিনী(২৮) পিতা মৃত রবি রুপিনী।বাড়ি ধলাই জেলার মনু থানাধীন এস কে পাড়া।সহ চালক বিকাশ দেববর্মা (২৩) পিতা জীবন দেববর্মা।বাড়ি একই জেলার খোয়াই থানাধীন লাতাবাড়ি এবং অপর কনটেইনার চালক কার্তিক রায়(১৯) পিতা চন্দন রায়।সহ চালক রঞ্জিত রাভা ১৮) পিতা গৌরাঙ্গ রাভাকে। উভয়ের বাড়ি অসমের গৌহাটির গোয়ালপাড়া এলাকায়।বর্তমানে পৃথক দুটি লরি সমেত গাঁজা,চালক ও সহ চালকরা স্হানীয় থানার হেফাজতে রয়েছে।রবিবার ধৃতদের ধর্মনগর জেলা আদালতে সোপর্দ করা হবে। এদিকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মহাকুমা পুলিশ আধিকারিক দেবাশীষ সাহা জানিয়েছেন,গোপন খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালালে উঠে আসে এই সাফল্য।পৃথক দুটি লরি থেকে ১০৫ প্যাকেটে মোট ৫৪৪ কেজি শুকনো গাঁজা উদ্ধার হয়েছে।যার কালোবাজারি মূল আনুমানিক পঞ্চাশ লক্ষাধিক টাকা হবে বলে জানিয়েছেন মহাকুমা পুলিশ আধিকারিক।তিনি আরো জানান, এই গাঁজা গুলি আগরতলা থেকে গৌহাটির উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।অপরদিকে উল্লেখযোগ্য যে, ইদানিং কালে রাজ্য থেকে বহিঃ রাজ্যে গাঁজা পাচারে জাতীয় সড়ককে গাঁজা পাচারের করিডোর হিসেবে বেছে নিয়েছে পাচারকারীরা। অবশ্য সেই গাঁজা পাচারের পথে উত্তর ও ঊনকোটি জেলার থানা গুলি আংশিক গাঁজা উদ্ধার করলেও অনান্য থানা গুলির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।তবে আগামী দিনে গাঁজা পাচার এভাবে চলতে থাকলে নেশামুক্ত ত্রিপুরা গড়ার স্বপ্ন শুধু স্বপ্নই যে রয়ে যাবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।তাই নানা মহল থেকে জোরালো দাবি উঠছে,এই গাঁজা পাচার রোধে জাতীয় সড়কের পাশে থাকা থানা গুলির দিকে কঠোর দৃষ্টি রাখুক রাজ্য সরকার।

You may also like