উদয়পুরঃ
সংবাদের জেরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেল উদয়পুর পশ্চিম খিলপাড়ার পিতৃমাতৃহীন প্রজ্ঞামণি দাস।
ছোটবেলায় মা বাবাকে হারিয়ে জেঠু এবং জেঠিমার কাছে ধীরে ধীরে বড় হয়ে উঠা 9 বছর বয়সী প্রজ্ঞামণি দাস কোন বিদ্যালয়েই ভর্তি হতে পারছিল না তার একমাত্র কারণ ছিল সরকারি ব্যবস্থাপনা। পিতৃ মাতৃহীন অনাথ প্রজ্ঞামণি দাস কে বিদ্যালয়ে ভর্তি করানোর জন্য তার জেঠু এবং জেঠিমা বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছেন কিন্তু কোন লাভ হয়নি। অবশেষে 9 বছর বয়সী প্রজ্ঞামনি দাসের এই করুন সমস্যার কথা জানতে পারে রাজ্য শিশু সুরক্ষা ও অধিকার কমিশন। খবর পেয়ে রাজ্য শিশু সুরক্ষা ও অধিকার কমিশনের সদস্যা শর্মিলা চৌধুরী প্রজ্ঞামণি দাসের জেঠুর বাড়িতে গিয়ে তার জেঠু এবং জেঠিমার সাথে কথাবার্তা বলে সম্পূর্ণ ঘটনাটি জানতে পারেন। তাদেরকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল কমিশনের পক্ষ থেকে যতটুকু সাহায্য করার কমিশন তা করবে, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সেই সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল । আর সেই সংবাদের জেরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডঃ মানিক সাহা পিতৃ মাতৃহীন নয় বছর বয়সি প্রজ্ঞামনি দাসের প্রতি সহানুভূতি হয়ে ওঠে এবং বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরের উপ অধিকর্তা ভিক্টর রিয়াংকে উদয়পুর পশ্চিম খিলপাড়া স্থিত প্রজ্ঞামনি দাসের জেঠুর বাড়িতে পাঠায়। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পেয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষা দপ্তরের উপ অধিকর্তা উদয়পুর রমেশ স্কুলের প্রধান শিক্ষক সহ শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে শনিবার সকাল ১১ টা নাগাদ প্রজ্ঞাময় দাসের জেঠুর বাড়িতে গিয়ে তাদের সাথে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেন এবং শনিবার ঐ নাবালিকার শিশুটিকে উদয়পুর রমেশ স্কুলে ভর্তি করানো হয়। শুধু তাই নয় মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরের উপ অধিকর্তা প্রজ্ঞামণি দাসকে নিয়ে ছবি তুলে মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো হয়েছে। সুতরাং দীর্ঘদিনের চেষ্টা সফল হল প্রজ্ঞামনি দাসের। ছোট্ট শিশুটিরও একান্ত ইচ্ছা ছিল আর পাঁচটা শিশুর মত সেও বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করবে। তবে শনিবার থেকে ছোট্ট প্রজ্ঞামণির জীবনের একটা নতুন অধ্যায় শুরু হল। তবে এই বিষয়ে গোটা উদয়পুরের মানুষ সহ বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরের উপ অধিকর্তা এমনকি প্রজ্ঞামণি দাসের জেঠু এবং জেঠিমা সবাই রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন এবং সংবাদ মাধ্যম সহ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডঃ মানিক সাহাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।