দিল্লিঃ সাংসদ পদ খারিজের পর প্রথম সাংবাদিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ শিল্পপতি গৌতম আদানিকে নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রাহুল গান্ধী। জানালেন, মোদী-আদানি সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তোলাতেই নিশানা করা হয়েছে তাঁকে। সেই সঙ্গে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি প্রশ্ন তুললেন দেশের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আদানিদের ঘনিষ্ঠ চিনা শিল্প সংস্থার ‘অংশগ্রহণ’ নিয়েও। রাহুল শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘‘মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরেই তাঁর বিমানে সফরসঙ্গী আদানির ছবি নিয়ে আমি প্রশ্ন তুলেছিলাম। এর পর দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরের নিয়ম বহির্ভূত ভাবে আদানিকে দিয়ে দেওয়া হয়েছিল।’’ ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে কর্নাটকে প্রচারে গিয়ে রাহুলের করা মোদী-মন্তব্যের জন্য তাঁকে দু’বছরের করাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে সুরত জেলা আদালত। তারই ভিত্তিতে ভারতীয় সংবিধানের ১০২(১)-ই অনুচ্ছেদ এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-এর ৮ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী শুক্রবার রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। সেই কারণেই তাঁর কেন্দ্র ওয়েনাড় বর্তমানে অভিভাবকহীন।সুরত জেলা আদালতের বিচারক এইচএইচ বর্মা রাহুলের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে সাজা কার্যকর ৩০ দিনের জন্য মুলতুবি ঘোষণা করেছেন। ওই সময়সীমার মধ্যে রাহুল উচ্চতর আদালতে আবেদন করতে পারবেন। কিন্তু সাজা স্থগিত রাখেননি তিনি। ফলে আইনের ৮(৩) ধারা মেনেই স্পিকার তাঁর সদস্যপদ খারিজ করেছেন বলে আইন বিশারদদের একাংশ জানাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ওই ধারার সাংবিধানিক বৈধতা শীর্ষ আদালত খারিজ করলে ফৌজদারি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত একাধিক জনপ্রতিনিধি রক্ষাকবচ পেতে পারেন।