শান্তিরবাজারঃ নাবালিকা ধর্ষণ মামলায় শান্তিরবাজার মহকুমার জোলাইবাড়ির পশ্চিম পিলাক এলাকার বাসিন্দা প্রাণজিৎ বৈদ্যের ভারতীয় দণ্ডবিধির 376(3) এবং 6 of pocso act এ ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ,ও 10 হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো দুই মাসের সাজা ঘোষণা করে দক্ষিণ জেলার জেলা ও দায়রা বিচারক আশুতোষ পান্ডে। ঘটনার বিবরণের জানা যায় বিলোনিয়া মহকুমার যশমুড়া এলাকার বাসিন্দা সুস্মিতা মজুমদারের সাথে প্রায় দশ বছর আগে সামাজিকভাবে বিবাহ হয়। বিবাহের প্রায় আড়াই বছর সুখে শান্তিতে কাটে। এরই মধ্যে তাদের সুখের সংসারে আসে ফুটফুটে একটি ছেলে। তারপরে শুরু হয় সাংসারিক ঝামেলা , শারীরিক এবং মানসিকভাবে নির্যাতন। সুস্মিতার অভিযোগ স্বামী শশুর এবং শাশুড়ি মিলে তার উপর অকথ্য নির্যাতন চালাত। পারিবারিক সহায়তা কেন্দ্র কিছু করতে না পারায় 2019 সালে চাইল্ড লাইনের সহযোগিতায় বাইখোরা থানায় মামলা করে স্ত্রী সুস্মিতা মজুমদার। যার কেস নম্বর ২৩/২০২১। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৩ এবং ৩৭৬ (৩) ধারায় বাইখোরা থানা মামলা গ্রহণ করে তদন্ত শুরু করে। জানাজা ইতিমধ্যে প্রানজিতের দ্বিতীয় স্ত্রী নাবালিকা দেবশ্রী মজুমদারের একটি ছেলে সন্তান হয়, দ্বিতীয় স্ত্রী দেবশ্রী মজুমদার নাবালিকা হওয়ার কারণে বাইখোরা থানার তদন্তকারী অফিসার সাব ইন্সপেক্টর রুমা নোয়াতিয়া তদন্ত শেষ করে 6 of pocso act যুক্ত করে আদালতে চার্জশিট প্রেরণ করে। তারপর আদালত চার্জ গঠন করে ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য বাক্য গ্রহণ করে আজ এই সিদ্ধান্তে আসে স্পেশাল জজ আশুতোষ পান্ডে। সরকার পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন স্পেশাল পিপি আক্তার হোসেন মজুমদার এবং সহায়তায় ছিলেন আইনজীবী বিশ্বজিৎ নন্দী।