আগরতলাঃ বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে ধনপুর নিয়ে কি বললেন প্রতিমা ভৌমিক, পড়ুন ……..
“ধনপুর, আমার জন্মভূমি, আমার প্রথম কর্মভূমি। আমি বরাবরই গর্বিত আমি ত্রিপুরার প্রান্তিক গ্রাম ধনপুরের মেয়ে। ধনপুর আমাকে না চাইতেও অনেক দিয়েছে, বিনিময়ে আমি কি দিতে পেরেছি জানিনা। আজকের দিনে হিসাব কষতে গেলে আমি সত্যিই ধনপুরের কাছে ঋণী। ধনপুরের মাটিতে খেলা-ধুলা, বাবার সাথে চাষাবাদ করতে করতে এই ধনপুরের মাটিতেই বেড়ে উঠা, ধনপুরবাসীর জন্য কিছু করার প্রতিজ্ঞা নিয়ে রাজনীতিতে আসা। ১৯৯৮ সালে ধনপুর থেকেই বিজেপির হয়ে আমি প্রথমবার বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি, হেরে যাই আমি। আবার ২০১৮ সালে এই বিধানসভা কেন্দ্র থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বীতা করি। না, এ যাত্রায়ও আমি জিততে পারিনি। তারপর ২০১৯ সালে আমি ভারতীয় জনতা পার্টির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের আদেশে পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা কেন্দ্র থেকে লোকসভায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি, আপনাদের আশীর্বাদে জয়ী হয়ে বিশ্বের সর্ববৃহৎ পঞ্চায়েত সংসদে যাই, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয় আমায়। ২০২৩ সালে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের আশীর্বাদে ফের বিধানসভা নির্বাচনে আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ পাই, তাও আমার ধনপুর কেন্দ্রে। ত্রিপুরার অন্যান্য বিধানসভার মত ধনপুরেও আপনারা আমায় দুহাতে আশীর্বাদ করেছেন। ধনপুরবাসীরা কেউ আমায় দিদি, কেউ মেয়ে হিসেবে ভালোবেসেছেন। আপনাদের ভালোবাসায় ১৯,১৪৮ টি ভোট পাই, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী থেকে ৩,৫০০ ভোটে জয় লাভ করি। এই জয় ধনপুরবাসীর জয়, এই জয় আমার জন্মভূমির জয়। আজ ফের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের আদেশে আমি ধনপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে আমার বিধায়ক পদ পদত্যাগ করছি। বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করলেও আমি আপনাদের পাশেই আছি, আপনাদের কাছেই আছি, থাকবো। চলুন সবাই মিলে শ্রেষ্ঠ ধনপুর, শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গড়ে তুলি। আবারও ধনপুরের প্রত্যেকটি গণদেবতার কাছে আমার নতজানু প্রণাম।”