বিশালগড়ঃ আমি আপনাদের অভিভাবক নই, আমি আপনাদের সন্তান। যারা আমাকে ভোট দিয়েছে আর যারা দেয়নি আমি তাদের প্রত্যেকের বিধায়ক। ৩২ বছর বয়সের একটি যুবকের এই পরিপক্কতায় মুগ্ধ বিশালগড়বাসী। আমি বিধায়ক আবাসনে নয় বিশালগড়ের নিজ বাড়িতে থেকে আপনাদের কাছে থেকেই বিশালগড়ের উন্নয়নের জন্য কাজ করতে চাই। রাজনীতিতে ভোট চাওয়ার পর জন সাধারনের দিকে মুখ ফিরে তাকানোর প্রয়োজন বোধটুকুও করেন না অনেক নেতা মন্ত্রীরা। সেই স্বার্থান্বেষী রাজনেতাদের ভীড়ে নিজেকে খুব সহজেই আলাদা করতে সক্ষম হয়েছেন বিশালগড়ের তরুন বিধায়ক সুশান্ত দেব। বিধায়ক হবার আগেই তিনি একজন দক্ষ নেতা হিসাবে বিশালগড়ের রাজনৈতিক পরিমন্ডলে ছাপ রেখেছেন। বলতে গেলে আধুনিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তার বিচক্ষনতা বরাবরই তার রাজনৈতিক জীবনের সুদূর প্রশারী সম্ভাবনার পরিচয় রেখেছে । বিধায়ক হবার পর এই সময় যখন ঘরে ঘরে ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষা চলছে। সেই সময়ে বিজয় মিছিল না করে বরং যেসকল বুথস্তরীয় কার্যকর্তাদের আক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল তিনি পেয়েছেন তাদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন এবং তাদের আশীর্বাদ গ্রহন করছেন পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে। বিশালগড় মন্ডলের শক্তি কেন্দ্রের উদ্যোগে বিভিন্নস্থানে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন এবং আশীর্বাদ গ্রহণ কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়ে দলের প্রতিটি সাধারন কার্যকর্তা এবং সমর্থকদের কাছে পৌছার চেষ্টা করলেন নতুন এই তরুন বিধায়ক। সোমবার বিশালগড় মন্ডলের ১১ নং শক্তিকেন্দ্রের উদ্যোগে প্রথম সভা হয় বিশালগড়ের একটি বেসরকারী প্রেক্ষাগৃহে এবং দ্বিতীয় সভাটি হয় ৬ নং শক্তি কেন্দ্রের উদ্যোগে জাঙ্গালিয়া মাঠে। প্রতিটি সভাতেই এলাকায় শান্তি স্থাপনের বার্তা দিয়েছেন সুশান্ত দেব। তিনি বলেন এই বছর জয়ের ব্যবধান ছিল ১৩২৬, কিন্তু আমাদের ভালবাসা এবং আমাদের ভাল ব্যবহারে এই ব্যবধান আগামী নির্বাচনে ১৩ হাজার হবে।