কুমারঘাটঃ
সন্ত্রাস কোন ভাবেই সাধারন মানুষের জন্য হিতকর নয়। প্রতিহিংসার আগুনে কখনো কারো লাভ হয়না। আরপরেও এই রাজ্য এই কলঙ্ক নিয়েই বেচে আছে। দীর্ঘ পাঁচ বছর এই রাজ্যে শাসকের উপর বার বার সন্ত্রাসের অভিযোগ করেছে বিরোধীরা। দলীয় অফিসে আগুন, বাড়ি ঘর ভাংচুর থেকে শুরু করে রাজনৈতিক হত্যা। ১৬ই ফেব্রুয়ারি নির্বাচন সম্পন্ন হবার সাথে সাথে আবারো সেই কাল ছায়া ঘনিয়ে আসে রাজ্যের কোনায় কোনায়। এখানেও শাসকের উপর অভিযোগ বিরোধীদের । কিন্তু এইবার শুধুমাত্র বিরোধীরা নয় শাসকেরাও অভিযোগ হাঞ্ছে বিরোধীর দিকে। সিপিএম এবং কংগ্রেসের গুন্ডা বাহিনীর হাতে একাধিক স্থানে আক্রান্ত শাসকের কর্মীরা। অভিযোগ শাসক বিজেপির নেতাদের। কেউ কেউ বলছে পাঁচ বছরের হিসাব নিচ্ছে সাধারন মানুষ । আর অন্যদিকে শাসকের দাবী সিপিএম কংগ্রেসের চরিত্রই এটা । সন্ত্রাস করা। আর সেই কারনেই দিকে দিকে আক্রান্ত হচ্ছে শাসক দলের নেতা কর্মীরা। কুমারঘাটে এরকমই এক ঘটনায় আহত দলের কর্মীকে দেখতে গিয়ে বিরোধীদের কড়া হুঁশিয়ারি দেন বিজেপি প্রদেশ সুভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য। তিনি বলেন এখনো সময় আছে শুধরে যান। শনিবারের রাজনৈতিক সংঘর্ষে বাম-কংগ্রেস সমর্থকদের লাঠির আঘাতে গুরুতর আহত হয় রানু কুরি নামে এক বিজেপি কর্মী। আহত কর্মীর বাড়িতে গিয়ে তাঁর মার কাছে এই হামলার হিসাব নেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেন রাজীব ভট্টাচার্য।
তবে এই সকল ঘটনায় একদিকে যেমন উচ্চ স্তরীয় নেতারা ভাল তবিয়তে আছে। অন্যদিকে এই প্রতিহিংসার রাজনীতিতে নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে সর্বশান্ত হচ্ছে নিচের কর্মী সমর্থকরা। দাদা আর নেতাদের হুঁশিয়ারি এবং ভরসায় নাথেকে নিজেদের মধ্যে শান্তি বজায় রাখুন এবং শান্ত ত্রিপুরা গড়ে তুলুন