বিশালগড়ঃ রাজ্যে নির্বাচনের সরব প্রচার শেষ হতেই শুরু হল দুষ্কৃতীকারীদের তান্ডব লীলা। মঙ্গলবার রাতে বিশালগড় মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় রাতের আঁধারে দুষ্কৃতী বাহিনী উন্মুক্ত তান্ডব মত্ত হয়ে ওঠে। যার হাত থেকে বাদ যায়নি বিরোধীদলের কর্মী সমর্থক থেকে শুরু করে নিরীহ সাধারণ মানুষ। মূলত জানা গেছে বিশালগড় মহকুমার লক্ষ্মীবিল সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় এই ধরনের ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। মূলত আহতদের অভিযোগ শাসক দলই সমর্থিত কর্মী সমর্থকটাই এদিন রাতের আঁধারে বিরোধীদলের কর্মী সমর্থকদের টার্গেট করে বাড়িঘরে হামলা চালায় পাশাপাশি শারীরিকভাবে আক্রমণ চালানো হয় বিরোধীদলের কর্মী সমর্থকদের উপর। এমনই এক দুষ্কৃতী হামলায় আহত হয়েছেন পূর্ব লক্ষ্মীবিল এলাকার ৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা বিপ্লব শীলের স্ত্রী অপরাজিতা শিল। এক্ষেত্রে অভিযোগের তীর সরাসরি শাসক দল বিজেপির কর্মীদের উপর। সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে আহতরা জানান মূলত উপপ্রধান মলিন দাসের ছেলে গোবিন্দ দাস, হৃদয় দাস সহ আরো ৭-৮ জন দুষ্কৃতিকারী এই ঘটনাগুলো ঘটিয়েছিল পূর্ব লক্ষ্মীবিল এলাকায়। অন্যদিকে মঙ্গলবার গভীর রাতে একদল দুষ্কৃতীকারী উত্তর ব্রজপুর কদমতলী এলাকায় গিয়ে একাধিক বাড়িঘরে তাণ্ডব চালায় এবং পরে দুষ্কৃতীরা উক্ত এলাকার একটি খালি জায়গায় গিয়ে পরপর তিন রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে, ফলে এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে চাঞ্চল্য, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় বিশালগড় বিধানসভার রিটার্নিং অফিসার বিনয় ভূষণ দাস সহ পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনী। অভিযোগ পুলিশ নামমাত্র একটি অভিযোগ নিয়ে চলে আসে। তবে এই ঘটনায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা জড়িত আছে বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। যদিও খবর লেখা পর্যন্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ কাউকেই জালে তুলতে পারিনি। তাছাড়াও মঙ্গলবার রাতভর বিশালগড় থানা এলাকার নীল কমল, নোয়াপাড়া, অফিটিলা, নমপাড়া সহ বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ১২-১৪ টি বোমা বিস্ফোরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অন্যদিকে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও বিস্তর অভিযোগ সাধারণ জনগণের। মূলত যে সকল জায়গাগুলোতে এই ধরনের দুষ্কৃতী আক্রমণের ঘটনা সংঘটিত হচ্ছিল সেখানে প্রশাসনের খবর থাকা সত্ত্বেও সেই এলাকা গুলিতে যায়নি প্রশাসন। শুধুমাত্র শহরের প্রাণকেন্দ্র গুলোতে জেলা শাসক এবং জেলা পুলিশ সুপার সহ অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিকরা পেট্রোলিং করে নিজেদের সক্রিয়তা প্রমাণ করতে চেষ্টা করেছিলেন। ফলে এক কথায় বলা যায় মঙ্গলবার রাতে বিশালগড় ছিল সমাজদ্রোহীদের কবলে, আর প্রশাসন ছিল কুম্ভনিদ্রায়। যার ফলে নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী শান্তিপূর্ণ ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে প্রশাসন কতটুকু নিরপেক্ষ ভূমিকা গ্রহণ করবে তা নিয়ে প্রশ্ন আমজনতার অন্দরে।