বিশালগড়ঃ বুধবার বিশালগড় থানাধীন রাঙ্গামাটি এডিসি ভিলেজ এর অন্তর্গত ১৫ কানি জায়গা জুড়ে গড়ে ওঠা প্রায় ৩০ হাজার পরিণত গাঁজা গাছ ধ্বংস করে পুলিশ। এদিনের এই গাজা বিরোধী অভিযানে বিশালগড় থানার পুলিশ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ান ও বন দপ্তরের কর্মীরা। এদিন বন দফতরের কর্মীদের ভূমিকা ছিল যথেষ্ট প্রশ্নচিহ্নের মুখে। কারণ অভিযানের শুরুতেই বন্ধ দপ্তরের এক আধিকারিক গাঁজা বাগানের জায়গায় না গিয়ে অন্য পথে ঘুরিয়ে পুলিশকে হয়রানি করতে থাকে। পরে পুলিশের তরফে নিজেদের সূত্র কাজে লাগিয়ে গাঁজা বাগানের হদিশ বের করে শেষ পর্যন্ত গাঁজা বাগান ধ্বংস করতে সক্ষম হয়। সিপাহীজলা বন দপ্তরের বিরুদ্ধে অভিযোগ নতুন কিছু নয়। পুরো সিপাহীজলা জেলার বন দপ্তরের আওতাধীন জমিগুলোকে অবৈধ গাঁজা চাষের মৃগয়া ক্ষেত্র বলা চলে। বছরের পর বছর অবাধে গাঁজা চাষ হলেও বন দফতরের ভূমিকা পুরোপুরি শূন্য। শুধুমাত্র বিশালগড় মহকুমা এলাকায় কম করেও ১০ থেকে ১২ টি অবৈধ চোড়াই স্ব-মিল চলছে দিনের পর দিন। কিন্তু আশ্চর্য জনক ভাবে জেলা বন আধিকারিক একেবারেই চুপ। গোপন রফা সূত্রে চোরাকারবারিরা দিন দুপুরেই এসব অবৈধ স-মিলগুলির দৌলতে বনের গাছপালা কেটে একেবারে ফাঁকা করে দিচ্ছে। এক কথায় সিপাহীজলা জেলার পাশাপাশি বিশালগড় মহকুমায় চোরাকারবারিদের রক্ষাকবচ হিসাবে কাজ করছে সিপাহীজলা বন দপ্তর। এখনো পর্যন্ত সিপাহীজলা বন দফতরের তরফে একটিও গাঁজা বিরোধী অভিযান চালানো হয়নি। ফলে যা হবার তাই হচ্ছে।