বিশালগড়:
২০২৩ নতুন ইংরেজি বছরের প্রথমদিনটি ছিল রবিবার। ফলে এদিন সিপাহীজলা চিড়িয়াখানায় পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়ে রীতিমত হিমশিম খেতে হয়েছে সিপাহীজলা চিড়িয়াখানা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে। গত দু’বছর করোনা মহামারীর ফলে ভ্রমণপিপাসুরা নিজের মতো করে বিগত বছরগুলোকে স্বাগত জানাতে পারেনি। যার ফলশ্রুতিতে এই বছরের প্রথম দিন যে পরিমাণ পর্যটক সিপাহীজলা চিড়িয়াখানার পিকনিক গ্রাউন্ড এবং চিড়িয়াখনায় রেকর্ড সংখ্যক পর্যটক এসেছে। সকাল আটটা থেকে পর্যটকরা চিড়িয়াখানার মূল ফটকের সামনে গাড়ি নিয়ে ভিড় করতে থাকে। একটা সময় গাড়ির লাইন সিপাহীজলা চিড়িয়াখানার মূল ফটকের উভয়দিকে প্রায় দুই কিলোমিটার জুড়ে লম্বা ট্রাফিক জ্যাম পড়ে যায়। খবর পেয়ে বিশালগড় থানা থেকে বিশাল সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে। মূল ফটকের বাইরে জাতীয় সড়কে জ্যাম কিছুটা স্বাভাবিক হলেও চিড়িয়াখানার ভিতরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। পর্যটকদের দীর্ঘসময় গাড়ির মধ্যে বসেই কাটাতে হয়েছে। অনেকে অনেকটা দূরত্ব পাঁয়ে হেঁটে যেতে বাধ্য হয়েছে। ছোট থেকে বড় সকলকেই বছরের প্রথমদিনটি আনন্দে কাটাতে দেখা গেছে। অনেকে আবার এনক্লোজারে বন্ধি পশুদের শারীরিক গঠন দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এদিকে রবিবার সংবাদ মাধ্যমের চাপে পড়ে সিপাহীজলা চিড়িয়াখানার পুলিশ প্রশাসন মূল ফটকের সামনের দোকানগুলিতে অভিযান চালিয়ে প্রচুর পরিমাণ বিদেশী মদ বাজেয়াপ্ত করে। অন্যদিকে পিকনিক গ্রাউন্ডের শেষ প্রান্তে মদ পাচারকারীদের এক চাঁই অবৈধভাবে বিদেশি মদ বনভোজনকারিদের নিরাপদে পৌঁছে দিতে গিয়ে সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনে ধরা পড়ে যায়। পরে প্রচুর বিদেশী মদসহ তাকেও তুলে দেওয়া হয়েছে বিশালগড় থানার পুলিশের হাতে। সব মিলিয়ে সিপাহীজলা চিড়িয়াখানার মূল ফটকের সামনের দোকানগুলিতে দেদার অবৈধভাবে নেশার রমরমা বাণিজ্য চালিয়ে গেলেও পুলিশ প্রশাসন পুরোপুরি শীতঘুমে আচ্ছন্ন।
ফলে পিকনিক স্পটগুলিকে যতদিন পর্যন্ত নেশার করাল গ্রাস থেকে মুক্ত করা সম্ভব না হবে ততদিন পর্যন্ত রাজ্য সরকারের যে স্বপ্ন রাজ্যকে পর্যটন হাব হিসাবে গড়ে তুলবে তা কখনোই বাস্তবায়িত হবে না। সব মিলিয়ে রবিবার পর্যটকদের বেশ ভিড় পরিলক্ষিত হয় সিপাহীজলায়।