কদমতলাঃ
খেরেংজূড়ি এলাকার জলাশয়ে অজ্ঞাত পরিচয়ের মহিলার পঁচা গলা মৃতদেহ উদ্ধারের নয়া মোড়।মৃত মহিলা অসমের পাতারকান্দি থানাধীন কুখিথলের ধুমা বাড়ি এলাকার ভানুমতি মুড়া ওরফে মনি।স্বামী সহ তিন সন্তান ছেড়ে প্রেমিকের সাথে পালিয়ে এসে আত্মঘাতী হয়েছে মহিলা।আটক প্রেমিক।এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে উত্তর জেলার চুরাইবাড়ি থানাধীন
লক্ষীনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের চার নং ওয়ার্ডের খেরেংজুড়ি এলাকায়। জানা গেছে,গত মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে খেরেংজুড়ি এলাকার সুভাষ ধর নামের এক ব্যক্তি গরু চরাতে এসে স্হানীয় প্রমেশ নাথের জলাশয়ে অজ্ঞাত পরিচয়ের পঁচা গলা মহিলার মৃতদেহ দেখলে খবর দেওয়া হয় চুরাইবাড়ি থানায়। যথারীতি স্হানীয় থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফরেন্সিক টিম ও ডগ স্কোয়াড এনে তদন্ত শুরু করে মৃতদেহ উদ্ধার করে।সাথে ৩০২ ধারায় একটি হত্যার মামলা রুজু করে তদন্তে নামে পুলিশ। বিশেষ করে ধর্মনগর মহাকুমা পুলিশ আধিকারিক দেবাশীষ সাহা,চুরাইবাড়ি থানার ইন্সপেক্টর হরেন্দ্র দেববর্মা ও সাব ইন্সপেক্টর পিযুষ সাহা ঘটনাটি তদন্তের দায়িত্ব নিয়ে তদন্ত শুরু করলে তাদের কাছে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, মৃত মহিলার নাম ভানুমতি।সে তার গ্রাম ধুমা বাড়ি এলাকার একত্রিশ বছরের জীবন সাঁওতাল নামের প্রেমিকের হাত ধরে তিন বছর পূর্বে স্বামী ও তিন ছেলে রেখে খেরেংজুড়ি এলাকার কবিতা নাথের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস শুরু করে। কিন্তু গত ১৭ ডিসেম্বর শনিবার প্রেমিকের সাথে কথাকাটাকাটি নিয়ে ঝামেলা হয়।পরে অভিমানে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা নাগাদ ভাড়া বাড়ির লিচু গাছে উর্না দিয়ে ফাঁসি লেগে আত্মহত্যা করে প্রেমিকা।তখন পরিস্থিতি বেগতিক দেখে প্রেমিক প্রেমিকার মৃতদেহ গোম করার জন্য বাড়ি থেকে প্রায় সাতশো মিটার দূরের ঐ জলাশয়ে ফেলে গা ঢাকা দেয়।সেই সূত্র ধরে পুলিশ বৃহস্পতিবার প্রেমিক জীবনকে অসমের ধুমা বাড়ি এলাকা থেকে গ্রেফতার করে স্হানীয় থানায় নিয়ে আসে।এ মর্মে মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দেবাশীষ সাহা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে এসে অভিমানে আত্মঘাতী হয়েছে ঐ মহিলা।তবে প্রেমিক গোটা ঘটনা আড়াল করতে চেয়েছিল। পুলিশ তদন্ত পক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে। শুক্রবার ধৃত প্রেমিককে ধর্মনগর জেলা আদালতে সোপর্দ করা হবে।