বিশালগড়ঃ দিব্যাংগ স্বামী, ঘরে তিনটি কন্যা এবং এক পুত্র সন্তান , অভাবের তারনায় লেখাপড়া বন্ধ প্রত্যেকের। রেগার কাজ নেই, সরকারি ভতা নেই। মেয়ের বিয়ে দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় একটি ঘর পেলেও সরকারি টাকায় ঘরের কাজ শেষ করতে পারেননি । এতসব অসুবিধার মাঝে ধারদেনা করে ৫০ হাজার টাকা জোগড় করে একটা উপায় করলেন। ৬০০ গাজার চারা লাগালেন সরকারি জায়গায়। গাজা চাষকে কেন্দ্র করে অনেক স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিলেন বিবারি দেব্বর্মা। মনে করেছিলেন পরিবারের সব কষ্ট দূর হয়ে স্বাস্তির পরিবেশ ফিরে আসবে সংসারে। মেয়ের বিয়ে হবে, ঘরের কাজ শেষ হবে, ছেলে মেয়েদের পড়াশুনা আবার শুরু হবে। কিন্তু বুধবার সেই স্বপ্নে জল ঢেলে দিল বিশালগড় পুলিশ। বুধবার লালসিংমুড়া ভিলেজ কাউন্সিলের অন্তর্গত বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে মোট ৫ একর জায়গা জুড়ে গড়ে ওঠা মোট দশটি গাঁজা বাগানে প্রায় এক লক্ষ পরিণত গাঁজা গাছ ধ্বংস করে বিশালগড় পুলিশ। আর এর মধ্যে স্থানীয় চেলিখলার বংশিবাড়ি এলাকার বিবারী দেব্বর্মার গাজ বাগানটিও ছিল। আর পুলিশ বাবুরা যখন তার শখের গাঁজা বাগানটি ধ্বংস করছিল বুকফাটা কান্নায় ভেঙ্গে পরেন বিবারি। তার স্বপ্ন তার সামনে ভেঙ্গে ছাড়খাড় হচ্ছিল। আমাদের এই প্রতিবেদনে আমরা কোনভাবেই গাঁজা চাষের সমর্থনে কথা বলছিন। আমরা তুলে ধরতে চাইছি রাজ্যে এত বড় অভিযানের পরেও কেন কমছে না গাজা চাষ। কর্ম সংস্থানের অভাবে এই রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ বাধ্য হয়েই এই অবৈধ কাজে লিপ্ত হচ্ছে। বুধবার গাঁজা বিরোধী অভিযানে বড়োসড় সাফল্য পেল বিশালগড় থানার পুলিশ। অভিযানে ছিলেন বিশালগড় থানার ওসি বাদল চন্দ্র সাহা,ইন্সপেক্টর সুমন উল্লা কাজী ও বিশ্বজিৎ দাসের নেতৃত্বে সিআরপিএফ, এসপিও,রিজার্ভ পুলিশ, টিএসআর সহ বিশালগড় থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।