চুরাইবাড়িঃ বিকেলে বেলা উদ্ধার হয় এক মহিলার মৃতদেহ, আর এখনো পর্যন্ত সেই মৃতদেহটি উদ্ধার করে তদন্ত প্রকৃয়া শুরু করতে ব্যর্থ রাষ্ট্রপতি কালার্স প্রাপ্ত ত্রিপুরা পুলিশ । একদিকে দিনের পর দিন অজ্ঞাত মৃতদেহ উদ্ধার যেন এই রাজ্যের স্বাভাবিক ঘটনার রূপ নিয়েছে আর অন্যদিকে পুলিশের অকর্মন্যতা প্রশাসনিক ব্যবস্থার উপর সাধারন মানুষের ভরসাকে দিন দিন ম্লান করছে। রহস্যজনক ভাবে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক মহিলার পঁচা গলা মৃতদেহ উদ্ধারে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনা উত্তর জেলার চুরাইবাড়ি থানাধীন লক্ষীনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের চার নং ওয়ার্ডের খেরেংজুড়ি এলাকায়। জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে তিনটা নাগাদ খেরেংজুড়ি এলাকার সুভাষ ধর নামের এক ব্যক্তি গরু চরাতে এসে স্হানীয় প্রমেশ নাথের জালাইতে (ছোট জলাশয়ে) পঁচা গলা মৃতদেহ দেখে খবর দেন চুরাইবাড়ি থানায়।খবর পেয়ে স্হানীয় থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলেও রাত সাতটা পর্যন্ত পুলিশ তদন্তের নামে নাটক মঞ্চস্থ করে। থানার ইন্সপেক্টর হরেন্দ্র দেববর্মা ও সাব ইন্সপেক্টর পিযুষ সাহাকে এবিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তারা কোন প্রতিক্রিয়া না দিয়ে বলেন,রাতভর মৃতদেহ কর্টন করে রাখা হবে। বুধবার ফরেন্সিক টিম,ডগ স্কোয়াড এনে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে প্রেরন করা হবে। মৃতদেহটি দশ বারো দিন পূর্বের বলে পুলিশের ধারনা। তাছাড়া মৃতদেহের পরিচয় না পাওয়া গেলেও শরীরের কাপড় দেখে মৃতদেহটি কোন মহিলার বলে চিহ্নিত হয়। এদিকে স্হানীয় লক্ষী নাথ নামের এক মহিলা জানান, মৃতদেহ উদ্ধারের স্হানটিতে সচরাচর মানুষ জন আসা যাওয়া করে না। অপরদিকে স্হানীয় জনগণের প্রাথমিক ধারনা, কোন ব্যক্তি পরিকল্পিত ভাবে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করে ঐ স্হানে মৃতদেহ ফেলে রেখেছে। তবে মৃতদেহটি কার বা কোথা থেকে আসলো তা উন্মোচন করতে পুলিশ কতটুকু সক্ষম হয় সেটাই এখন দেখার বিষয়।