মধুপুরঃ গাঁজা ও চোরাই বাইক পাচারের মূল করিডোরে মাত্র ৬ কেজি শুকনো গাঁজা এবং ১৫ বোতল এসকফ সহ এক চুনোপুঁটি নেশা কারবারীকে আটক করেই মধুপুর থানার ওসির বাহবা কুঁড়ানো দেখে রীতিমত হাসির রোল পরে যায় থানায় কর্মরত অন্যান্য পুলিশ কর্মীদের মধ্যে। রাজ্যের আন্তর্জাতিক পাচার চক্রের মূল করিডোর হিসেবে কুখ্যাত মধুপুর থানা এলাকা। এই এলাকা দিয়েই রোজ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে চুরি যাওয়া কয়েকশতাধিক বাইক, গাড়ি ভর্তি নেশা সামগ্রী যেমন গাঁজা, ইয়াবা, হিরোইন, ফেন্সি, এসকফ সহ বেআইনি সামগ্রী পাচার হচ্ছে। অবৈধ ভাবে সীমান্ত পারাপার করতে গিয়ে বিএসএফ সহ গোয়েন্দা কর্মীদের হাতে আটক হচ্ছে রোহিঙ্গা সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিদেশি নাগরিক। যার পুরোটাই ওসি, এসডিপিওদের হাফতা দিয়ে চলছে বলে এলাকায় গুঞ্জন। যার দরুন বড় মাপের নেশা কারবারীদের এবং সীমান্ত পাচারকারীরা ধরা ছোয়ার বাইরে থেকে নিজেদের বেআইনি বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। সোমবার রাতে নাটকীয় ভাবে এক চুনোপুঁটি নেশা কারবারীকে আটক করেছে মধুপুর থানার পুলিশ। এদিন রাতে থানা এলাকার বনকুমারি এলাকায় একটি সুজুকি গাড়িতে তল্লাসী চালায় মধুপুর থানার পুলিশ। পুলিশ তল্লাসি করে গাড়ি থেকে ৬ কেজি শুকনো গাঁজা, ১৫ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করে এবং গাড়ির চালক ইকবাল হোসসেনের পকেট থেকে নগদ ৩০ হাজার ৭৭০ টাকা, একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে। ঘটনাস্থল থেকে ইকবাল হোসেন সহ তার TR07E0247 নম্বরের গাড়িটিকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। কিন্তু বিশ্বস্ত সুত্রে খবর সোমবার রাত সারে আটটা নাগাদ বিশালগড় বিএসএফ ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় বিশালগড় পুলিশের এক উচ্চ পদস্থ অফিসার উক্ত গাড়িটিকে আটক করে। জানা যায় আটককৃত ইকবাল হুসেন সাড়ে চার লক্ষ টাকা নিয়ে সকালে সোনামুরার কমলনগর থেকে আগরতলা গিয়েছিল গাড়ি কেনার জন্য। পছন্দ না হওয়ায় গাড়ি না কিনেই টাকা নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে রাত সাড়ে আটটা নাগাদ তাকে বিশালগড়ে আটকায় বিশালগড়ের এক উচ্চ পদস্থ পুলিশ অফিসার। পরে সেই সাড়ে চার লক্ষ টাকা হাফিস করে মধুপুর থানায় নিয়ে গিয়ে ৬ কেজি গাঁজা এবং ১৫টি এসকফের বোতল দিয়ে একটি মিথ্যা এনডিপিএস মামলায় জড়িয়ে দেয় ইকবালকে। পরে সোমবার রাত একটা নাগাদ ইকবালের পরিবারের লোকেরা বিশালগড় থানায় আসে তার খোজে। জানা যায় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার কমলনগরে এলাকাবাসীরা প্রতিবাদ গড়ে তুলতে পারে ।