বিশালগড়ঃ
গত ১লা এপ্রিল বিশালগড়ে প্রানঘাতি আক্রমনের শিকার হয়েছিলেন রাজ্যের বরিষ্ঠ সাংবাদিক প্রসেঞ্জিত রায় (ব্রাত্য)। বাবা ছেলে এবং কাকা মিলে সাঙ্গাব্দিকের উপর চড়াও হয়। মিমাংসা সভায় হঠাৎই সাংবাদিককে ডেকে নিয়ে একই পরিবারের তিন সদস্য মিলে সংগবদ্ধ প্রানঘাতী আক্রমন করে। বিশালগড় প্রেসক্লাবের সভাপতি, সাংবাদিক এবং কোষাধ্যক্ষের সামনেই মহকুমার বরিষ্ঠ সাংবাদিককে হেনস্থা করা হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে সারা রাজ্যব্যাপী সোচ্চার হয়েছিল সাংবাদিকরা। সাংবাদিকদের চাপে ঘটনার দিন রাতেই মুল অভিযুক্ত বিন্দু রায়কে গ্রেপ্তার করেছিল বিশালগড় থানা। এরপরের দিন এই ঘটনায় যুক্ত আরেক অভিযুক্ত গাড়ি চালক সঞ্জিত নমঃকেও জালে তুলে পুলিশ। কিন্তু তারপর থেকে পুলিশের আর ভূমিকা দেখা যায়নি। সিপাহীজলা জেলা পুলিশ সুপার থেকে শুরু করে রাজ্য পুলিশ মহা নির্দেশকের নিকট ডেপূটেশন দেওয়ার পরেও হঠাত করেই এই মামলার তদন্তে নেতিয়ে পরে বিশালগড় পুলিশ। অধরা থাকে মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত মুল আসামী বিন্দু রায়ের ছেলে পুলক রায় এবং বিন্দু রায়ের ভাই বিদ্যুৎ রায়। বিন্দু রায় এবং সঞ্জিত নমঃ আদালতের রায়ে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত জেল হাজতে আছে। অর্থাৎ আগামীকাল ১০ই এপ্রিল আবার আদালতে তোলা হবে বিন্দু রায়কে। তার ঠিক আগের দিন মামলার অন্যতম অভিযুক্ত পুলক রায়ের গ্রেপ্তারী নিয়ে সন্দেহের গুঞ্জন শুরু হয় বিশালগড়ে। অভিযুক্ত বিন্দু রায়ের অগনিত অবৈধ সম্পত্তি আছে বলে অভিযোগ। সামান্য গ্রুপ ডি পদে সরকারী চাকরী করে কোটি কোটী টাকার সম্পত্তি রয়েছে বিন্দু রায় এবং তার পরিবারের সদস্যদের নামে। বাম আমলেই অবৈধ বালু ব্যবসা থেকে শুরু করে জমির দালালির সাথে যুক্ত এই বিন্দু। টাকার গরমে রাম আমলেও এখন সবকিছুই ম্যানেজ করে নিয়েছে বিন্দু। তবে সাংবাদিকের উপর এই প্রানঘাতী হামলার পর পুলিশের ভুমিকা প্রথম দিকে সক্রিয় থাকলেও পরবর্তী সময়ে পুলিশের শিথিলতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে বিশালগড়ের সাধারন মানুষের মধ্যে।
মঙ্গলবার এই মামলায় তৃতীয় অভিযুক্ত হিসাবে পুলক রায়কে গ্রেপ্তার করা হলেও ৪র্থ অভিযুক্ত বিদ্যুৎ রায় এখনো পলাতক বলে জানিয়েছে পুলিশ।