মেলাঘরঃ
অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রের শিক্ষিকার কান্ডজ্ঞানহীনতার কারনে আশংকাজনক ভাবে হাসপাতালে ভর্তি দুই অবুঝ শিশু। দুই অবুঝ শিশু কন্যার উপর গরম জল ঢেলে গুরুতরভাবে আহত করল অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের এক শিক্ষিকা। জানা গেছে গত ২০ মার্চ বুধবার মেলাঘর থানার অন্তর্গত বৈরাগীমুড়া অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে অন্যান্যদের সাথে এলাকার দুই শিশু কন্যা সকালে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে যায়। দুই অবুঝ শিশু অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে কিছুক্ষণ শিক্ষা গ্রহণের পর অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের বাইরে খেলা করছিল। আর তখনই অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের শিক্ষিকা জয়লক্ষী সরকার দেববর্মা সেন্টারের ভেতর থেকেই গরম জল বাইরে ফেললে, সেই গরম জল পাঁচ বছরের পাংতি দেববর্মা এবং সাড়ে পাঁচ বছরের হামাড়ি দেববর্মার শরীরে পরে। গরম জল তাদের শরীরের পরার পর একজন সঙ্গে সঙ্গেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে আর অপর শিশু কন্যাটি চিৎকার শুরু করলে আশেপাশের বাড়ি ঘরের লোকজন ছুটে আসে এবং অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের দায়িত্বজ্ঞানহীন শিক্ষিকা জয়লক্ষ্মী সরকার দেববর্মা এবং হেল্পার কাঞ্চনমালা দেববর্মাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করলে তারা আহত দুই শিশু কন্যাকে মেলাঘর হাসপাতালে নামমাত্র চিকিৎসা করে বাড়িতে দিয়ে আসে। সেদিনেই রাতের বেলা আহত দুই শিশু কন্যা ঝলশে যাওয়া শরীরের যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকলে তড়িঘড়ি তাদের মেলাঘর হাসপাতালে নিয়ে এসে ভর্তি করানো হয়। একদিন মেলাঘর হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ২১ মার্চ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীর জিবি হাসপাতাল করে দেয়। দুই অবুঝ শিশু সন্তানের আশঙ্কাজনক অবস্থার কথা জানতে পেরে অঙ্গওয়ারী সেন্টারের দায়িত্বজ্ঞানহীন শিক্ষিকা জয়লক্ষ্মী সরকার দেববর্মা নিজের দায়িত্ব খালাস করতে সামান্য কিছু টাকা আহত দুই শিশু কন্যার পরিবারের হাতে তুলে দেয় যাতে আহতদের একবেলা ওষুধ কেনার টাকাও হয়নি। অন্যদিকে দপ্তরের সম্মান বাঁচাতে মেলাঘরের সিডিপিও বৃহস্পতিবার কোন সহযোগিতার না করেই শুধুমাত্র চোখের দেখা দেখে যায়। বর্তমানে আহত দুই শিশু কন্যা জিবি হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন দুই শিশু কন্যার শরীরের বেশিরভাগ অংশই গরম জল পুড়ার ফলে ঝলসে গেছে। চিকিৎসকদের কথা অনুসারে অর্থের অভাবে তারা সময় মত ঔষধ কিনতেও পাচ্ছেন না। এদিকে দায়িত্বজ্ঞানহীন অঙ্গনওয়ারী সেন্টারের শিক্ষিকার এই ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণে গোটা এলাকা জুড়ে তীব্র নিন্দার ঝড় বইছে। অন্যদিকে শুক্রবার দুপুরে আহত দুই শিশু কন্যার পরিবারের লোকজন সংবাদমাধ্যমের দ্বারস্থ হয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সহযোগিতার বিনম্র আর্জি জানিয়েছেন ।