বিশালগড়ঃ
বাড়ির মানুষের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে বাংলাদেশের কুমিল্লা থেকে পালিয়ে রাজ্যে এল এক যুবক। আর কয়েকদিনের ক্ষুধার জ্বালা মেটাতে আশ্রয় নিল চুরির। কমলাসাগরের মধুপুর বাজার থেকে বাই সাইকেল চুরি করে বিশালগড় বাজারে আসে চুরির সাইকেল বিক্র করতে। আর সেখানেই জন সাধারনের হাতে আটক হয় বাংলাদেশের এই যুবক। তবে এই ঘটনায় আবারও প্রমান হয়, আন্তর্জাতিক সীমান্ত টপকে অতি সহজেই রাজ্যে প্রবেশ করছে বাংলাদেশী নাগরিক। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও এই বিষয় নিয়ে চিন্তা প্রকাশ করেছেন। তবে কোন কড়া পদক্ষেপ নেই এই অবৈধ মানব পাচারের বিরুদ্ধে। সিপাহীজলা জেলার কমলাসাগরের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকা আন্তর্জাতিক মানব পাচার চক্রের এক মসৃন মৃগয়াক্ষেত্র। প্রতিনিয়ত এই সীমান্ত দিয়ে অবৈধ পাচার হচ্ছে। কিন্তু সীমান্ত রক্ষী এবং স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের কোন হেলদোল নেই। বাংলাদেশের এই যুবকটির নাম হৃদয় হাসান। তার বাড়ি বাংলাদেশের কুমিল্লায়। চুরির সামগ্রী বিক্রি করতে এসে স্থানীয়দের সন্দেহে পরে সব স্বীকার করে হৃদয়। সে জানায় ছোট থাকতেই তার মা-বাবা তাকে ফেলে পালিয়ে যায়। তখন থেকেই কুমিল্লাতেই কোন এক আত্মীয়ের বাড়িতে থাকতো হৃদয়। কিন্তু সেই আত্মিয়ের বাড়িতে ধীরে ধীরে তার উপর অত্যাচার বৃদ্ধি পেতে থাকে। আর শেষ পর্যন্ত অত্যাচার আর সহ্য করতে না পেরে ঐ বাড়ি থেকে পালিয়ে সোজা রাজ্যে চলে আসে হৃদয়। এটাই ছিল তার পক্ষের কাহিনী। কিন্তু স্থানিয়রা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সব জানতে পেরে বিশালগড় পুলিশের হাতে তুলে দেয়।