উড়িষ্যাঃ
অভিযোগ স্ত্রীকে জীবন্ত পুড়িয়ে মেরেছেন গুনুপুরের প্রাক্তন বিধায়ক গোমাঙ্গো। যদিও এই মামলায় গোড়া থেকেই তাঁর দাবি ছিল, আত্মহত্যা করেছেন স্ত্রী শশীরেখা। গোমাঙ্গোর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ এবং ২০১ ধারায় যথাক্রমে খুন ও প্রমাণ লোপাট-সহ ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়।
অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে খুনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত ওড়িশার প্রাক্তন বিধায়ক রামমূর্তি গোমাঙ্গোকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল ভুবনেশ্বরের বিশেষ আদালত। ২৮ বছরের পুরনো এই মামলায় মঙ্গলবার আদালত আরও জানিয়েছে, যাবজ্জীবন কারাবাসের পাশাপাশি দোষীর ৫০,০০০ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাবাস।
পুলিশ সূত্রে খবর, ১৯৯৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর ভুবনেশ্বরের খারভেলনগরে গোমাঙ্গোর বাড়ি থেকে তাঁর স্ত্রী শশীরেখার অর্ধদগ্ধ দেহ পাওয়া গিয়েছিল। ময়নাতদন্তের পর জানা যায়, অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন শশীরেখা। তদন্তে নেমে গো়ড়ায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছিল খারভেলনগর থানার পুলিশ। পরে তা বদলে খুনের অভিযোগ দায়ের করে তারা।
মঙ্গলবার সাজা ঘোষণার পর সরকারি কৌঁসুলি রশ্মিরঞ্জন ব্রহ্ম বলেন, ‘‘এই মামলায় ১১ জন সাক্ষীর বয়ান-সহ ১৫টি তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে দোষীকে সাজা শুনিয়েছে আদালত। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে পারিপার্শ্বিক নানা প্রমাণ মিলেছে।’’