তেলিয়ামুড়াঃ
সঠিক সময়ে বৃষ্টি না হওয়ার কারণে এবার পাহাড়ে ব্যাহত হচ্ছে জুম চাষ। যে কারণে খাদ্যের সমস্যার সম্মুখিন হওয়ার সম্ভাবনায় চিন্তিত জুমিয়া পরিবার গুলি। আর এই জুম চাষের উপরে পাহাড়ের একটি বড় অংশ নির্ভরশীল।যা থেকে সারা বছরের খাদ্যের যোগান হয় কিন্তু এবার ফসল ফলাতে পারেনি বৃষ্টি না হওয়াতে। যে কারণে ক্ষতির আসংখ্যা অনুমান করছেন জুমিয়া পরিবার গুলি। তেলিয়ামুড়া মহকুমা ১৮ মুড়া পাহাড়ের বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকা জমিতে অনাবৃষ্টি আর খড়ার কারণে চাষ করতে পারেনি তেলিয়ামুড়া মহকুমার ১৮ মুড়া পাহাড়ের বিস্তীর্ণ এলাকা গুলিতে বসবাসকারী জুমিয়া পরিবার গুলি। দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে জঙ্গল কেটে বৈশাখ মাসের শুরু থেকে জুমের বীজ বোনা হয়। তবে এ বছর অনাবৃষ্টি ও খরার কারণে বীজ বপন করতে পারেনি বেশিরভাগ জূমিয়া পরিবার। বৈশাখ জৈষ্ঠ এই দুই মাসে বৃষ্টি না হওয়ায় জুমের ফসল অংকুরেই নষ্ট হয়েযায়। এরই মধ্যে যারা বীজ বপন করেছে তাদের জমিতে ও গাছ গজায় নি। আর তার নেপথ্যে রয়েছে সময় মত বৃষ্টি না আসার কারণে জুম চাষের জন্য তৈরি করা জমিতে অনেক জুমিয়া পরিবার গুলি বীজ বপন করতে পারেনি। এবং যারা বীজ বপন করেছেন জমিতে খড়ার কারণে সেই গাছ গুলিও মরে গিয়েছে। তবে জুমিয়া পরিবারগুলি জুম চাষের মাধ্যমে উৎপাদিত ফসলের উপর নির্ভর করে বছরের ৬ মাস অতি সহজেই পরিবারের ভরণপোষণ যোগানো সম্ভব হয়। কিন্তু এ বছর অনাবৃষ্টি এবং খরার ফলে রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকা বলতে মুঙ্গিয়াকমি ব্লকের অধীন হলুদিয়া এডি সি ভিলেজের ভাস্কর ছড়া সহ ১৮ মুড়া পাহাড়ের পার্শ্ববর্তী জনজাতি এলাকাগুলিতে জুমিয়া পরিবার গুলি এই বছর জুমে বীজ বপন করতে পারেনি। দীর্ঘদিন জুম চাষ করে আসা এক জুমিয়া চাষী জানান, বাবা মার কাছ থেকে শিখেছেন জুম চাষের পদ্ধতি। আর এই পদ্ধতি অনুসরণ করে দীর্ঘদিন ধরে জুম চাষের উপর নির্ভর করে সংসারের যাবতীয় ভরণ পোষণ করে আসছে। এ বছর সময়ে বৃষ্টি না হওয়ায় ফসল নষ্ট হয়েযায়। এখন পুনরায় জুম লাগিয়ে কতটা লাভের মুখ দেখবেন সে নিয়ে চিন্তায় পরেছেন জুম চাষিরা। এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়াতে এই জুমিয়া পরিবার গুলি দাবি বেঁচে থাকার জন্য সরকার যেন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়।