তেলিয়ামুড়াঃ
ত্রিপুরা বিধানসভার মুখ্য সচেতক কল্যাণী সাহা রায় সহ বিভিন্ন স্তরের বিশিষ্ট রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক ব্যক্তিত্বদের উপস্থিতিতে তেলিয়ামুড়া বিধানসভার অন্তর্গত মোহরছড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে একযোগে মোহর ছোড়া দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় এর গ্রন্থাগার ,কমিউনিটি হল সহ মুক্ত মঞ্চের উদ্বোধন পর্ব সম্পন্ন হল সোমবার । বৃষ্টি বিঘ্নিত দিনে পূর্বনির্ধারিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই উদ্বোধনের সাক্ষী থাকতে এলাকার বিভিন্ন স্তরের সাধারণ মানুষদের অংশগ্রহণ এবং স্বতঃস্ফূর্ততা ছিল চোখে পড়ার মতো।
এদিকে গোটা এই উদ্বোধন কে নিয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে কল্যাণী সাহা রায় দাবি করেন এ রাজ্যে বিজেপির নেতৃত্বাধীন সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে এবং দেশে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই সাধারণ মানুষের দাবি-দাওয়াকে গুরুত্ব দিয়ে নিরন্তর ভাবে কাজ এগিয়ে চলছে। মোহর ছোড়ার এই উদ্বোধন সমূহ নিয়ে কল্যাণী সাহারা এর বক্তব্য হচ্ছে দীর্ঘদিনের দাবি ছিল এই এলাকার কমিউনিটি হল নির্মাণ দীর্ঘদিনের দাবী ছিল মুক্তমঞ্চ সহ বিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারের চালু হওয়া আজ এই উদ্বোধন-পর্ব সম্পন্ন হওয়ায় তিনি আশাবাদী এগুলো আগামী দিনে গোটা মোহরছড়ার কৃষ্টি, সংস্কৃতির বিকাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
এদিন কল্যানী সাহারায় ছাড়াও তেলিয়ামোড়া পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান যমুনা দাস পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য নিরোধ দাশ তেলিয়ামুড়া ব্লকের ভিডিও দেবপ্রিয়া দাস প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে কমিউনিটি হল নির্মাণ কাজকে কেন্দ্র করে জনমনে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তার কারণ কমিউনিটি হলটি উদ্বোধনের পরই দেখা গেল কমিউনিটি হলের দেয়াল দিয়ে বৃষ্টির জল হলের ভিতরে চুইয়ে পড়ছে এতে কিছুদিনের মধ্যেই দেওয়া উঠি খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে একাংশ সচেতন মহলের অভিমত। এক কথায় বলতে গেলে অত্যন্ত নিম্নমানের কাজের দ্বারা এই কমিউনিটি হল সম্পূর্ণ হয়েছে বলে এলাকার একাংশ জনগণের অভিযোগ। মূলত তেলিয়ামুড়া এলাকার এক অন্যতম ঠিকেদার সিতু রায়কে ৮৪ লক্ষ টাকা ব্যয় এই কমিউনিটি হল নির্মাণের বরাত দেওয়া হয়। এই কমিউনিটি হল নির্মাণের বরাত পেয়ে তিনি এই কমিউনিটিহল নির্মাণের কাজ শুরু করেন । অতীতেও এই ঠিকেদারের বিরুদ্ধে বহু নিম্নমানের কাজের অভিযোগ উঠে এসেছে।