বিলোনিয়াঃ
মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বিষ চাইল স্বামী। স্ত্রীর অঙ্গনওয়াড়ি চাকরি নিয়ে প্রতারণা এবং দুর্নীতির অভিযোগ। শেষ পর্যন্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে স্ত্রীর চাকরি নয়তো এক বোতল বিষ দাবি করল দৃষ্টিহীন স্বামী।
অঙ্গনওয়াড়ি চাকরি নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় শাসকদলের নেতাদের উপর অভিযোগ তুলছে স্বদলীয়রা। এবার অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রের চাকরির অফার ছাড়তেই, বঞ্চিতরা ক্ষোভে ফেটে পড়ে বিলোনিয়ার ভারত চন্দ্র নগর ব্লকের পাইখলা গ্ৰামে । চাকরি নিয়ে কেলেঙ্কারি অভিযোগও উঠছে দলের কর্মীদের পক্ষ থেকে। অভিযোগ বিলোনিয়া মন্ডল নেতৃত্ব থেকে শুরু করে কিছু কিছু নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা এই কেলেঙ্কারি সাথে যুক্ত । চাকরির অফার থেকে বঞ্চিত হয়ে এমন এক বিজেপি কর্মী হতাশার সুরে বলেন আমার স্ত্রীকে অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রে সহায়িকা হিসেবে নিযুক্ত করেন না হয় আমার হাতে বিষের বোতল তুলে দেন । এভাবেই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কাতর আবেদন করেন বিলোনিয়া ভারত চন্দ্র নগর ব্লকের পাইখলা গ্ৰাম পঞ্চায়েতের এক বিজেপি কর্মী ।বিজেপি কর্মীর নাম রঞ্জিত সূত্রধর। আশা ছিল অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রের সহায়িকা হিসেবে নিযুক্ত পাবে তার স্ত্রী। সেই মোতাবেক অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রের সহায়িকা হিসেবে ইন্টারভিউ দেয় রঞ্জিত সূত্রধরের স্ত্রী রেখা সূত্রধর। কিন্তু সেই আশা নিরাশায় পরিনত হলো ভারত চন্দ্র নগর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান পুতুল পাল বিশ্বাস সহ বিলোনিয়া মন্ডল সভাপতি গৌতম সরকারের সহ বিজেপি নেতা নিতাই চরন মজুমদারের কারসাজিতে এমনই অভিযোগ এলাকার বিজেপি কর্মীদের । বুথ সভাপতি , পৃষ্ঠা প্রমুখদের না জানিয়ে মনগড়া চাকরি নামের লিস্ট পাঠানোর ফলে, চাকরি থেকে বঞ্চিত অসহায় রঞ্জিতের স্ত্রী রেখা । এই ক্ষোভে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ পাইখলা পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করে চাকরি দাবিদার রঞ্জিতের পরিবার সহ বুথ সভাপতি ও সংশ্লিষ্ট এলাকার বিজেপি নেতা কর্মীরা । পঞ্চায়েত ঘেরাও এর আধা ঘন্টার পরে আসে উপপ্রধান । সাথে সাথে দলের কর্মীরা উপপ্রধানকে ঘেরাও করে জবাব চাইতে থাকে । উপপ্রধান জবাবহীন ।
রঞ্জিত দৃষ্টি হীন, কাজ করতে না পারায় স্ত্রী ছেলে ও বৃদ্ধ বাবা মায়ের দু মুঠো অন্ন জোগাড় করতে গিয়ে হিমসিম খেতে হচ্ছে। সেই হিসেবে এলাকার বিজেপি নেতৃত্বরা চেয়েছিল রঞ্জিতের স্ত্রীর চাকরিটা হোক। তবে দুর্নিতিগ্রস্ত একাধিক নেতাদের কারনে অসহায় পরিবারটি আজ বঞ্চিত। অপরদিকে এলাকার বিজেপি কর্মীরা এই হুঁশিয়ারি দেয় রঞ্জিতের পরিবারের চাকরি না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য পাইখলা গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস সহ পাইখলা বিজেপি দলীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলানো থাকবে।